তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। সেটি নিয়ে সেখানকার সব পক্ষ সন্তুষ্ট। এমনকি রাজ্যের ভোটও ইভিএমে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইভিএমে ভোট হয়। সেখানে বিএনপি আমাদের দেশে ইভিএমের বিরোধিতা কেন করছে তার কোনো সদুত্তর আমি খুঁজে পাচ্ছি না।’
বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি সব সময়ই প্রযুক্তির বিরোধিতা করে। খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন সরকার গঠন করেছিলেন তখন বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বিনির্মাণের। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার কথা বলে সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করার অনুমতি দেননি। যেটি পরবর্তীতে হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্থাপন করতে হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি তাদের প্রযুক্তি বিরোধিতার ধারাবাহিকতায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা শুধু ইভিএমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করে তা নয়, ব্যালটে ভোটগ্রহণ করলেও তারা নানা অভিযোগ উপস্থাপন করে। মূল কথা হচ্ছে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা অনুধাবন করতে পেরেছে জনগণ তাদের সাথে নেই। এটি অনুধাবন করতে পেরে তারা পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে নানা ধরনের অভিযোগের বাক্স খুলে বসেছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন না হাওয়াকে সংবিধানবিরোধী বলে ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ড. কামাল হোসেন নয়, গতকাল (বিএনপি মহাসচিব) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছেন। ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় সংবিধান সামনে নিয়ে আসেন...আমি পরিষ্কার বলতে চাই জামিন হওয়া না হওয়া সংবিধানের বিষয় নয়, এটি আদালতের বিচার্য বিষয়। খালেদা জিয়ার জামিন দেয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। এখতিয়ার হচ্ছে আদালতের। ড. কামাল হোসেন আদালতকেই অভিযুক্ত করছেন কি না সেটাই আমার প্রশ্ন।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির অপরাজনীতি দেখা যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি একটু আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেছি যে বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে অভিযোগ করেছে সেটা কতটুকু সঠিক। চিকিৎসকরা আমাকে বলেছেন বিএনপি যেভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলছে বিষয়টি ঠিক সে রকম নয়।’
তার মতে, খালেদা জিয়া একজন বয়স্ক মানুষ। সে কারণে তার কিছু স্বাভাবিক বয়সজনিত সমস্যা রয়েছে। এর বাইরে তার যেসব সমস্যা রয়েছে তা দুই যুগেরও বেশি আগের। আর এটি বয়স হওয়ার সাথে সাথে বাড়ে, সেটি তার হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা প্রতিদিনই তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে যাতে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেয়া যায় সে চেষ্টা তারা করছেন এবং সেটি তাকে দেয়া হচ্ছে।’