তথ্যমন্ত্রী
জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করল না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’
নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামাত চেষ্টা করেছে ভোটকে ঘিরে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হওয়া উৎসাহ-উদ্দীপনাকে ম্লান করার জন্য। কিন্তু তাদের অপচেষ্টা ছাপিয়ে ভোট মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের এই উৎসব আজ সারা বাংলাদেশে হচ্ছে এবং অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার আমেজের মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম ৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোটকে ঘিরে বিএনপির অপতৎপরতা ও অপচেষ্টাগুলো মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার এ উৎসবের মধ্যে ঢাকা পড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ও আশা করি, আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে বিজয় হবে। পরপর চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
হাছান বলেন, অনেক জায়গায় সকাল ৮টার আগে থেকে মানুষ লাইন ধরেছিল। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। এটি শুধু আমার নির্বাচনি এলাকায় নয়, সমগ্র দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুনসন্ত্রাস করে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না।
তিনি বলেন, যেসব নেতা এসব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দাবি হচ্ছে, ভদ্রবেশী সুবেশধারী এসব নেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার। যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আমাদের প্রধান কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম প্রধান হবে আগুনসন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যায় না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেজন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এ নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপক হারে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের উপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, এদের ব্যাপারে আশা করি আন্তর্জাতিক মহল মুখ খুলবে এবং এ দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে তারাও সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, গতকাল ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে বিএনপি-জামায়াতের দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে। যেভাবে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে এতে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, ঠিক একইভাবে বর্বরোচিত হামলা তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
গতকাল ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর বিএনপি একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে অস্বীকার করা বিএনপির অভ্যাস। এর আগেও মা ও শিশুসহ চারজন একসাথে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই এলাকায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাহেবের বাড়ি। এর আগের ঘটনা কার নির্দেশে, কারা করেছে, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আগুনসন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য ও নৃশংস কাজগুলো যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কঠোর এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে এবং ভোট যে শতভাগ অবাধ ও স্বচ্ছ হবে সেই ব্যাপারে জনগণের মধ্যেও বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে। অবাধ সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটের দিন মোটরসাইকেলে এসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, তাদের এই চক্রান্ত ও পরিকল্পনা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং র্যাব পুলিশসহ প্রত্যেকটি বাহিনী ইতোমধ্যে জেনে গেছে। সেই কারণে তাদের পক্ষে এগুলো বাস্তবায়ন করা কখনো সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের পাওনা না দিলে ‘নোবেল জয়ী’ বলে কি মামলা হবে না: তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নির্বাচনী এলাকার ভোট কেন্দ্র কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন বাহিনী প্রধান, সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের এই পরিকল্পনার কথা আজকে আমাকে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নাকি আবার দু’দিনের হরতাল ডেকেছে, তারা হরতালকে অকেজো রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে তারা দুটি স্কুল ঘর পুড়িয়েছে।
তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষের উপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, অকারণে হরতাল ডাকে, মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়, তারা জনগণের প্রতিপক্ষ।
আরও পড়ুন: সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হওয়ায় বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী অংশে কোনো দুষ্কৃতিকারীর অবস্থান নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবুও স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, আবদুল মোনাফ সিকদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
শ্রমিকদের পাওনা না দিলে ‘নোবেল জয়ী’ বলে কি মামলা হবে না: তথ্যমন্ত্রী
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের পাওনা কিংবা অধিকার বুঝিয়ে না দেওয়ায় একজন নোবেল জয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার বিষয়ে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর ভূমিকার সমালোচনাও করেছেন তিনি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শরণার্থীর জবানবন্দী ১৯৭১’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত িবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে অনেক নোবেলজয়ী ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকে জেলও খেটেছেন। ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাচ্ছি, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে না-দেওয়ার জন্য। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি, বহু বছর ধরে।
তিনি বলেন, ‘এরপর যখন শ্রমিকরা আদালতে গেছেন, তখন আদালতের বাইরে দুজন শ্রমিক নেতাকে ৩ কোটি করে ৬ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুজন শ্রমিক নেতা টাকা পেলে তো হবে না, কারণ সাধারণ শ্রমিকরা তো কোনো টাকা পাননি। সে কারণে সাধারণ শ্রমিকরা মামলা করেছেন। সেই মামলার রায় হচ্ছে। এখন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে নানা কথা হয়। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও অনেক কথা বলেন।’
নোবেলজয়ী যদি শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দেন, তাহলে কি তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না- এমন প্রশ্নও তোলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আশা করি, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও এ নিয়ে কথা বলবেন। শ্রমিকের অধিকার ও পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মামলা হয়েছে।
হাছান বলেন, ‘মালালা ইউসুফজায়ী ১২ বা ১৪ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। কখন আট বছরের ছেলেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়, সেটির আশঙ্কাও লোকজন করছেন।’
আরও পড়ুন: তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বক্তব্যে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও বিরক্ত হই না। মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে, সেগুলো আমরা দেখি, পর্যবেক্ষণ করি, অনেক ক্ষেত্রে সত্য ঘটনা হলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তারা পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস নিয়ে কোনো কথা বলে না কেন? তারা ফিলিস্তিনের হাজার অসহায় নারী-শিশুকে যেভাবে ইসরাইলি বাহিনী হত্যা করছে, তা নিয়ে কথা বলেন না কেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি ঘরানার কয়েকজন লোকের মানবাধিকার নাকি দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারের কথা তারা বলছেন? মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে সারা দেশের প্রেক্ষাপটে বলতে হবে। আজ যে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যহত করা হচ্ছে, সেটাও মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না কেন! সেটি নিয়ে কথা যখন বলেন না, তখন আমরা বিরক্ত হই। কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে কেউ কথা বললে আমরা বিরক্ত হই না।’
‘প্রার্থীদের ওপর বিএনপি হামলা চালাতে পারে’ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জানি, তারা প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছেন, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়ে যায়। প্রার্থীদের ওপর হামলা করবে, হত্যা করবে, যাতে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘কোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো প্রার্থী মারা যান, তাহলে সেই নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিএনপি এমন পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। তাদের সব পরিকল্পনা সন্ত্রাসীমূলক। এখন তারা প্রার্থীদের ওপর হামলা পরিকল্পনা করেছে। জঘন্য সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া কেউ সেটা করে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিপোর্টকে নির্জলা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সিপিডির সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।'
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রীর নিজ জেলা চট্টগ্রামে বন্দরনগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে সিপিডির দেওয়া তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে যদিওবা গবেষণার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে গবেষণা করতে অনেক সময় লাগে, অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে। কিন্তু সিপিডি এই রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনেক লুকোচুরি করেছে এবং অনেক ভুল ও অসত্য তথ্য তারা পরিবেশন করেছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'যেমন সিপিডি বলেছে আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে বিদেশনির্ভর। অথচ আসলে আমাদের চলতি বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে সাহায্যনির্ভর কিংবা বিদেশনির্ভর। এক সময় এটি ২০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কারণে এটি ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ সিপিডি বলেছে এটি ৭৫ শতাংশ।'
ড. হাছান বলেন, 'সিপিডি বলেছে বেসিক ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি দুই হাজার কোটি টাকার জন্য মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান, আদায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সিপিডি আরও বলেছে নাবিল গ্রুপ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণ যেসব আদায় হয়েছে, সে তথ্য সিপিডির রিপোর্টে জানানো হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলোকে লুকানো হয়েছে। সিপিডি চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপের কথা বলেছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চেক করেছি। সেই গ্রুপের কোনো লোনই ক্লাসিফায়েড নয়। অর্থাৎ সিপিডি অসত্য তথ্য দিয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'একইসঙ্গে সিপিডি বলেছে, ক্লাসিফায়েড লোনের আকার বেড়েছে। কিন্তু তারা শুধু আকারের কথা বলেছে, পারসেন্টেজের কথা বলে নাই। কারণ, ক্লাসিফায়েড লোনের হার কমেছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি হচ্ছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার। জিডিপি ৬ গুণ বৃদ্ধি পেলে তো ক্লাসিফায়েড বা ব্যাড লোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পারসেন্টেজ কত, সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। ২০০৯ সালে ক্লাসিফায়েড লোন ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কমেছে।'
সিপিডির কেউ কেউ তো ২০০৭-২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তখন ব্যাড লোন ১০ শতাংশের উপরে ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এইভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি যে তিনদিন কর্মসূচি দিয়েছে, জনগণও তা জানে না, কেউ খেয়ালও করে নাই। হয়তো বা সাংবাদিকরা খবরা-খবর রাখেন বলেই খেয়াল করেছেন। তারা কোন দিন হরতাল দেয়, কোন দিন অবরোধ দেয়, কেউ কিন্তু খেয়াল করে না। বাংলাদেশের মানুষও খেয়াল করে নাই, কাকপক্ষীও খেয়াল করেছে কি না আমি জানি না। সুতারং এগুলো গতানুগতিক কর্মসূচি ও হাস্যকর।'
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে শেখ হাসিনার বক্তৃতা ১৯৮১-১৯৮৬’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সিপিডির প্রতিবেদনের ভুল চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিডির এই প্রতিবেদন আমি পড়েছি। উনারা বলেছেন আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে, যা সম্পূর্ণ অসত্য, ‘অ্যাবসোল্যুটলি রং অ্যান্ড বোগাস’। আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর। আগে আরেকটু কম ছিল। একটা গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন এ রকম ভুল কীভাবে থাকে। সুতরাং এই প্রতিবেদনে আরও ভুল আছে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এ রকম প্রচার করার উদ্দেশ্য কি মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নিবদ্ধ করা? সেই প্রশ্ন অনেকেই রেখেছে।”
ড. হাছান বলেন, ‘বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপ যে ঋণ নিয়েছে, সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে সিপিডি বলতে চেষ্টা করেছে যে, ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। আমি মনে করি, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম যে হয়নি বা হচ্ছে না সেটি নয়, অনিয়ম কিছুটা হয়েছে। কিন্তু এসব বিষয় আগে বহুবার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এখানে গবেষণার কিছু নাই। এগুলো সব লোন ইস্যু বা ঋণের বিষয়, এগুলো সবাই জানে। উনারা পত্রপত্রিকা ঘেঁটে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রেস কনফারেন্সে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল। সেই প্রতিবেদনেও অনেক ভুল। এই সময় মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নিবদ্ধ করার জন্যই এটি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
একইসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং সরকার যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সে প্রয়োজনে ভুল ধরে দেওয়ার জন্য সিডিপির মতো প্রতিষ্ঠান দরকার আছে, গবেষণারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু যখন এই গবেষণায় এতবড় ভুল থাকে যা ‘গ্রস মিসটেক, নট সিলি মিসটেক’ আর প্রতিবেদন হয় অসত্য তথ্যনির্ভর, তাহলে সেই প্রতিবেদন এবং যারা তা প্রকাশ করে তাদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।”
নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার ওপর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিএনপি কীভাবে নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে-এ প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “মাঠ প্রশাসন এবং পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা বাস্তবায়ন কমিশনই করবে। যখনই কমিশন এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবে অবশ্যই প্রশাসন সেটি প্রতিপালন করবে। আমি মনে করি যে, এই নির্দেশনা সুষ্ঠু, অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহায়ক।”
নির্বাচনের বিরুদ্ধে কেউ কেউ গোলটেবিল বৈঠক করছে এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা লম্বা, গোল বা চ্যাপ্টা টেবিল মিটিং করছে তাদের হাঁকডাক তো শোনা যাচ্ছে না, পত্রিকার পাতায়ও স্থান পাচ্ছে না। নির্বাচন অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ৬ জন প্রার্থী। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।”
বিএনপিনেতা রিজভী ও মঈন খানের মন্তব্য ‘সরকার লুটপাটের অর্থ দিয়ে ডামি নির্বাচন করছে’- এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির ডামি নেতারা কী বলল এতে কিছু আসে যায় না। ওদের আসল নেতা তারেক রহমান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রুহুল কবির রিজভী আর মঈন খান তো ওদের ডামি নেতা। এরা দুজনই ডামি নেতা বলেই ডামি শব্দটা বেশি পছন্দ করে এবং তারা কী বলল, কিছু আসে যায় না। আর লুটপাটের জন্য তো উনারাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, পরপর পাঁচবার উনারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং সেই লুটপাটের অর্থ দিয়ে তারা এখন দেশে আগুনসন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমাদের সরকার লুটপাটকারীদের ধরার ব্যবস্থা করছে এবং আরাফাত রহমান কোকোর টাকা ফেরত এনেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে।’’
পিআইবির পরিচালক ড. কামরুল হক, সহসম্পাদক আকিল উজ জামান খান, গবেষক পপি দেবী থাপা এবং মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন প্রমুখ গ্রন্থমোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনোভাবেই ম্লান করতে পারেনি।
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই এই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, যে সমস্ত বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারে বারে ধরনা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, এই সমস্ত বিষয় এখন আর নেই। এখন নির্বাচনটা কিভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গতকাল এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি ও ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে- নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে- দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা এবং শিশু সন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সেটি যত না নৃশংস ও বীভৎস ছিল, তার চেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা।
চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সামনে আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটি আমরা বরদাশত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণকে না আসার জন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছে, এটি কাটিয়ে জনগণকে কীভাবে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয়, আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোনো ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নেই।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে আইসিইউ বেডের সংকট রয়েছে, আগামী ২৭ তারিখ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য সেখানে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলা শহরে আইসিইউ বেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, অনেক জেলা শহরে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি হলে সেখানে শুধু আইসিইউ নয়, সমস্ত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র চায় না সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক। তারা মনে করে, সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে যেসব প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল আছে সেগুলোর ব্যবসা কমে যাবে। এই চক্রটা সরকারি হাসপাতালগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায়ও রিপোর্ট বেরিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার কিনে দেয়ার পরও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই না, সেগুলোকে চালু করে না, এরা আসলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর চট্টগ্রামে সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনে (রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী আংশিক) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনী গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি বলেছেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মতো টুস করে চুপসে গেছে। এখন শক্তিশালী ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ ৭ জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সারা দেশের মতো এই রাঙ্গুনিয়ায়ও হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ নিয়ে আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেব।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা এখন গর্তের মধ্যে ডুকেছে।
বিএনপির রিজভী আহমেদও গর্তের ভেতর ঢুকেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ বিএনপিকে ধাওয়া করেছে, জনগণের দৌড়ানি খেয়ে গর্তের মধ্যে ডুকেছে। এখন বিএনপির রিজভী আহমেদ গর্তের ভিতর থেকে চোখ মেলে মেলে তাকায় আর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এরআগে পাহাড়ের চুড়ায় সত্যপীরের মাজার এবং নিজের পিতা-মাতাসহ মুরুব্বিদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি ঘোড়া পোড়ানো। গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায় তাদেরকে আমরা বর্জন করি, তাদের জনগণও বর্জন করেছে। সুতরাং রাঙ্গুনিয়ার মাটিতেও তাদের কোনো স্থান নেই।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘মিডিয়া ফর ডেভালপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। রবিবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ‘রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা বন্ধ করো, নির্বাচন-ই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, পত্রিকার সম্পাদকদের মধ্যে হেমায়েত উদ্দীন, হেদায়েত উল্লাহ প্রমুখ অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, রাস্তায় নেমেছেন। বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ, সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, ড্রাইভার-হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদেরকে পিটিয়েছে, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে এম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, সেগুলো কোনো মুভির নৃশংসতম দৃশ্যপটকেও হার মানিয়েছে। এগুলো রাজনীতি তো নয়ই, অপরাজনীতি বললেও ভুল হবে। রাজনীতির নামে পৃথিবীর কোথাও এ ধরণের নৃশংসতা হয়নি, যেটি বিএনপি-জামায়াত করছে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকে এদের প্রতিহত করতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, আজকেও হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র যুক্ত আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে আজকে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হয়েছে, উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক ভাই-বোনদের অনুরোধ জানাবো আপনারা জনগণের পাশে আগেও ছিলেন, এখনো আছেন, আজকে যেভাবে মুখ খুলেছেন, ভবিষ্যতেও এমনই থাকবেন। আর যারা জনগণ ও গাড়ি-ঘোড়ার উপর হামলা চালায়, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, তাদের খুঁজে বের করে সমূলে উৎপাটন না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে