তথ্যমন্ত্রী
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন,কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় না। বাংলাদেশে সেটি কখনো হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে তারা সিট পেয়েছিল ২৯টা। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম-তালেবান সবাইকে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের মতো মানুষকে হায়ার করেও মহিলা আসনসহ সিট পেয়েছিল মাত্র ৭টি।
আর গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে যে আবার নির্বাচিত করবে।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই একজোট হয়ে দেশে একটি গন্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে। কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে। সমস্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
‘বিএনপি রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা কখনই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের ঘোষণা দেখি নাই। কারণ সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয় এবং অন্যান্য কর্মসূচি হয়। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটাও নষ্ট করতে চায়।'
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা পবিত্র রমজান মাসে বিএনপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি রমজানেও মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় এবং একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা তারা করছে,যেটি অনভিপ্রেত।’
আরও পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে।
তিনি বলেন, দেখুন একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারবিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে। অবশ্যই পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে।
তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়াদি আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনও নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনও ঘটে নাই।
সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটাল হিলে যে হামলা, সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না, সেটিও দেখার বিষয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে সাত হাজার ৬৬৬ জন, ২০২০ সালে ৯৯৬ জন, ২০২১ থেকে ২০২২ সালে গড়ে প্রায় এক হাজার জন।
তিনি বলেন, যেই দেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সেখানে অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে? আমাদের দেশে যে কখনও এমন হয় না আমি সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিও হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতারা চায় না খালেদা জিয়া মুক্তি পাক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আসলে বিএনপি নেতারা চায় না বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাক। কারণ এটি যদি চাইতো, তারা আদালতে গিয়ে বড়বড় আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়তো। তারা কিন্তু মামলা লড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে ফখরুলের ভূমিকা শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতারা কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এমন অসুস্থ যে উনাকে যদি বিদেশ নেয়া না হয় উনি মারা যাবেন। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, তারা চাচ্ছিল বেগম খালেদা জিয়া মারা যাক। উনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসায় ভালো হয়ে গেলেন।'
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আর মির্জা ফখরুল সাহেবদের বক্তব্য শুনলে মনে হবে দেশে গত ১৪ বছরে কিছু হয় নাই- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে জনসভা করেন, আর বলেন দেশে কিছু হয় নাই। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন দেশে কিছু হয় নাই।'
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি'র সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই নির্বাচনী ভীতি তাদের পেয়ে বসেছে।
তিনি বলেন, এ কারণে বিএনপি নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তাদের এ ভীতি অবশ্য স্বাভাবিক। কারণ, ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীকালে উপ-নির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংরক্ষিত নারী আসনসহ মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটিও জানে, সে কারণেই তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পর ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে। এর বাইরে আর কোনোকিছু নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। দেশে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।
এর আগে সেমিনারের বিষয়বস্তু সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ড. হাছান বলেন, একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধামকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক।
তিনি বলেন, এগুলাতে হনুমানও এখন ভেঙচি কাটে।
শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা করেন।
আরও পড়ুন: ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বহুবার সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি ও বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যূষে বেগম জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছিলেন। সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেয়া না দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।'
সাংবাদিকরা এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে প্রশ্ন করে।
জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা ইতোপূর্বে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার ঢাকা বারের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে জয়লাভের কোনো আশা নেই বুঝেই তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়, এরপর নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য ব্যালট ছিনতাই ও নির্বাচনী প্যান্ডেলসহ সব স্থাপনা ভাঙচুর করে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, '২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে তারা নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি-এ জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
এর আগে আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগের মত জলাবদ্ধতা আর হবে না।
শহরের পরিচ্ছন্নতা ও নর্দমা সচল রাখা নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পৌণে এক কোটি মানুষ মিলে শহর ময়লা করলে সিটি করপোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষেও তা পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। পলিথিন ও বাসাবাড়ির ময়লা না ফেললে ড্রেইন সচল থাকবে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ চায় আ.লীগ: পর্যবেক্ষকদেরকে তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে। রাস্তায় যখন হালুয়া-রুটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তখন কাক যেমন জড়ো হয়, তেমনি রাজনীতিতেও কাক আছে। রাজনীতির কাকদের নিয়েই বিএনপির সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক দুইটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল, রিজভী, খন্দকার মোশাররফ অন্য দল করতেন। রাজনীতির কাকদের নিয়ে বিএনপির সৃষ্টি। এ কারণে তাদের মধ্যে কোনো আদর্শ নেই। তারা পদ বাণিজ্যও করে।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে না। তারা আওয়ামী লীগের অধীন নির্বাচনে যেতে চাইলেও সেই সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের দরকার নেই। আমরা তাদের সংলাপে ডাকিনি। কাজেই আমরা ডাকলে তারা বলতে পারতো, সংলাপে যাবে কি-যাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার কোনো প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। যেভাবে সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্য দেশগুলোতে নির্বাচন হয়, সেভাবেই জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চলতি সরকার দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে সংলাপ করার প্রশ্নই আসে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা জানেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের সম্ভাবনা নেই। সেজন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণের কাছে না গিয়ে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও কোনও কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যায় না। মানুষের মন জয় করতে হলে, সমর্থন পেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না’- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রথমে বিএনপি ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ বেগম জিয়ার ভবিষ্যৎবাণী তার নিজেদের বেলায় সত্য হয়েছিল। এবার বেগম জিয়া কারাগারে। আমি আশ্চর্য হবো না যদি মির্জা ফখরুল সাহেবের এই ভবিষ্যৎবাণী তার দলের ব্যাপারে সত্য হয়। এ ধরণের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।’
বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে না যেতে চাওয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তো কোনও সুযোগ নাই। কারণ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। ইসির অধীনে যে নির্বাচন হবে আশা করি সেখানে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “ড. কামাল হোসেন সাহেবকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন সাহেবকে ‘হায়ার’ করেছিল। তিনি ‘হায়ারে’ খেলতে গিয়ে ভালো খেলেন নাই এবং সেখানে মাত্র ৭টি আসন বিএনপি পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা আনুবিক্ষণিক দলগুলো, যারা রাজনীতির টোকাই তাদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে আপনারা ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি বলতে পারলে আমি তাকে ধন্যবাদ দেবো।”
সাম্প্রতিক পঞ্চগড় সফর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে জিজ্ঞাস করলেই জানা যায় কারা এই ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, যে কায়দায় অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য হয়েছিল; একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিএনপি যে তা করেছে সেটি তারা স্বীকার করে নিয়েছে। বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানা, জিএম সিরাজ ও হারুন-অর-রশীদের পোস্ট থেকেই প্রমাণিত হয় যে তারা এটি ঘটিয়েছে। আর মির্জা ফখরুল সাহেব ১৩ তারিখ ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে বলছেন, ‘ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। এটা বলে তো কোনো লাভ নাই, উনার নেতারাই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এবং তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল, যেটি পুরোপুরি সফল হয়নি।”
মন্ত্রী হাছান আরও জানান, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০টি মামলা হয়েছে, ১২০ জনের বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোনো দল-মত না দেখে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। সেখানে যদি প্রশাসন বা পুলিশের কোনো ব্যর্থতা থাকে তদন্ত সাপেক্ষে সে ব্যাপারেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই। তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না।
তিনি বলেন, এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্রচর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি-দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই-এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, তারমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে যে বলে-আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে অসার মিথ্যা, সেটি ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
এদিকে ড. ইউনূসকে নিয়ে 'বিশ্বনেতাদের বিবৃতি'র খবর প্রসঙ্গে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।
উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে।
আমার প্রশ্ন-তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?'
বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতার ছক এঁকেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে গেলেও একটি মহল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সেটি চায় না। তারা আজ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখানে যারাই দায় থাক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আঁধার ভাঙার শপথে আলোক প্রজ্জ্বলন’ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
দেশ ও নারী দিবসকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মা-বোনসহ সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই, বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক এঁকেছে। তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীদের বলবো- আপনারা এগিয়ে যান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। আপনাদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহফিলের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা পরিচালনা করেছে। আবার কাল নাকি বিএনপির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে যাচ্ছে। নিজেরাই মেরে আবার দরদ দেখানোর জন্য সেখানে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
দেশে নারী উন্নয়ন নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীকে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের নারী সমাজ উন্নতি লাভ করেছে। নারী সমাজ সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধা, যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের নারীরা রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম, এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয় আর উপমহাদেশে প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই এটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নারী পৃথিবীকে পথ দেখাচ্ছে। আমাদের নারীরা এভারেস্ট জয় করেছে, আমাদের নারীরা হিমালয় শৃঙ্গে উঠেছে, মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, শিক্ষামন্ত্রী নারী। এভাবে নারীর যে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশে হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে গত এক দশকে এভাবে হয়নি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ নারীরা সেনাবাহিনীতে শুধু অফিসার পদে নয়, সেনা সদস্য হিসেবেও কাজ করছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) হয়েছেন, যা ১৪ বছর আগে কেউ ভাবেনি, এভাবেই বর্ণনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারী ফুটবল দল পাকিস্তানকে ১২ গোল দিয়েছে, সার্ক শিরোপা জয় করেছে। আমাদের নারী ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কিন্তু পুরুষ ক্রিকেট দল পারেনি। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নারীদের ফল ভালো। প্রধানমন্ত্রীর নারীবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও নানামুখী কর্মসূচির কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজি সারোয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আগে দেশে নারী উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী