ড. হাছান মাহমুদ
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে কখন ছোবল মারবে।’
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে আজকের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। সংকটে সংগ্রামে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে ধৈর্যহারা না হয়ে অবিচল থাকতে হয়, নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকতে হয়, তার উদাহরণ তিনি।’
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চুক্তির কথা ভাবছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় গণতন্ত্রকে যেভাবে শেকল পরানো হয়েছিল, একজন শেখ হাসিনা না থাকলে গণতন্ত্রকে মুক্ত করা সম্ভবপর ছিল না। সেই সময় শেখ হাসিনার পাশে ছায়ার মতো ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।’
ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা প্রতিনিয়ত জাতিকে 'জ্ঞান' দিতে থাকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা গত নির্বাচনের আগেও সক্রিয় হয়েছিল, আবার যদি কিছু করা যায়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কাছে বিএনপি-জামাতের অপশক্তি যেমন পরাজিত হয়েছে, ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের স্বপ্নও তেমন ধুলিস্যাৎ হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা, যারা দেশের ওপর শকুন আহ্বান করে, তারা ঘাপটি মেরে আছে, যদি কোনো সুযোগ কোনো সময় পাওয়া যায় ছোবল মারার জন্য। সুতরাং সতর্ক থাকতে হবে।'
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের অনুসরণীয় নানা দিকের ওপর আলোকপাত করেন।
সভায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি মো. শেখ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু, ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খোকা, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তুর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশের দেওয়া জোরালো বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সব পক্ষের সংকল্পের কোনো বিকল্প নেই।
রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত দৃঢ় সমর্থন, আন্তরিক সহযোগিতা ও গাজাবাসীদের সাহায্য করতে পণ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
চলতি সংকট মুহূর্তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা কামনা করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইইউটি উপাচার্যের সাক্ষাৎ
ওআইসিভুক্ত ২৪টি দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে আইইউটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (১৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ড. হাছান মাহমুদকে এই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, কাঠামো, পরিচালনা পর্ষদ, একাডেমিক কার্যক্রম, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান আইইউটির ভিসি।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইইউটি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন ধরে রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইইউটিকে ইসলামি সংহতির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ অব্যাহত রাখবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসারে শিক্ষা গ্রহণ করবে।
আইইউটি’র অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে সরকারের সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে ড. হাছান মাহমুদ ভাইস চ্যান্সেলরকে আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং উৎকৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বিনিময়ের মাধ্যমে আসিয়ান ও বাংলাদেশ উভয়ই লাভবান হবে।
এ লক্ষ্যে তিনি ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভিয়েনতিয়েনে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে আসিয়ানের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আসিয়ানের ঢাকা কমিটির (এডিসি) সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আসিয়ানের এসডিপি হতে বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সমর্থন করার আশ্বাস দেন এডিসির সদস্য।
এডিসি ঢাকাভিত্তিক আটটি আসিয়ান আবাসিক মিশন- ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মিশন প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর উচিত পারস্পরিক লাভজনক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধনকে কাজে লাগানো।
বাংলাদেশের সঙ্গে আসিয়ানের যে বাণিজ্যিক ব্যবধান রয়েছে, তা অতিক্রম করা সম্ভব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার সুফল পেতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উভয় পর্যায়ে বেসরকারি খাতের বর্ধিত ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে তাদের কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে মিশন প্রধানদের পরামর্শ দেন।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি মোকাবিলায় এডিসির সদস্যদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ওআইসি অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অপতথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিক থেকেই সদিচ্ছা আছে। একসঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চায়, এটি একটি বড় বিষয়।
সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরাও তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।’
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় বলে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
এতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে। ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। মার্কিন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে' সফর করছেন।
তারা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম তৈরির কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী লুবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ দিন দুপুরে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী জানান, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।
বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়া ও সারাবিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এখন অসংলগ্ন কথা বলছেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, তোপের মুখে। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সরকারকে ভারত, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ সমস্ত দেশ ও সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে, কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল এ সব দেখে তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, এখন কি করবে দিশা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ঐকমত্য
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা ও সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন উপলক্ষে সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি যেখানে পৌঁছায় না, তারা সেখানে আলো ফেলে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করলেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের ২৬টি দেশের কারাগারে ৯ হাজার ৩৭০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক আটক রয়েছেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সিলেট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরবের বিভিন্ন কারাগারে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭৪৬ জন বাংলাদেশি এবং তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০৮ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৪টি দেশের মধ্যে পর্তুগালে একজন, আলজেরিয়ায় একজন, জাপানে ২ জন, শ্রীলঙ্কায় ৩ জন, থাইল্যান্ডে ৪ জন, কোরিয়ায় ৬ জন, মিশরে ৬ জন, চীন (কুনমিং) ৭ জন, লিবিয়ায় ৯ জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কাতারে ৪১৫ জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনে (বেইজিং) ১৮৪ জন, আবুধাবিতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছে।
মাহমুদ বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিবিয়া থেকে মোট ১ হাজার ২২৬ জন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্য দেশের কারাগার থেকে ৫১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভারত, মিয়ানমার ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে আরও ১ হাজার ৯৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের কারাগার বা বন্দিশালায় আটক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া বিভিন্ন দেশে ফৌজদারি অপরাধে আটক অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা ও পাবলিক প্রসিকিউশন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছেন ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কারাগারে আটক শ্রমিক বা প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ও সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
ভোলা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, ৮১টি দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে, যেখানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মনোযোগ ধরে রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এর ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ভাসানচরে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়মিত পরিদর্শন রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে কার্যকর আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণেও ভূমিকা রাখছে।’
লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারের প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর সুযোগ এখনো রয়েছে। তবে তা হতে হবে বৈধ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন প্রক্রিয়ায়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'প্রক্রিয়া চলমান থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জানুয়ারিতে গঠিত মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বিষয়ক কোর্সের ক্লাস নেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দুই ঘণ্টাব্যাপী তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে কোর্সের উপরে লেকচার দেন। ২০১৮ সাল থেকেই ড. হাছান মাহমুদ ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করে আসছেন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ঢাকা-দিল্লি আলোচনা করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বিভাগের সপ্তম এবং অষ্টম সেমিস্টারের ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ’ ও ‘ইভ্যুলেশন অ্যান্ড আর্থ বায়োস্ফিয়ার’ এ দুইটি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
সরকারি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যস্ততা, প্রতি সপ্তাহে নির্বাচনি এলাকায় যাওয়, বিদেশ সফর ইত্যাদি ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়মিত ঢাবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন অধ্যাপনা করেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এদিন প্রথম সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগে ক্লাস নিতে গেলে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ড. হাছানকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন।
তার আগে তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
শিক্ষাজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ড. হাছান মাহমুদ।
এরপর বেলজিয়ামের ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পিএইচডি করেন ড. হাছান মাহমুদ।
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ব্রাসেলসের ইউরোপিয়ান ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে ভিজিটিং ফেলো এবং অ্যাকাডেমিক বোর্ড মেম্বার হিসেবে মনোনীত হন।
আরও পড়ুন: নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপির রাজনীতি আর কখনো সচল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ আলোচনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ দিয়েছে আইএলও: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত রেংগলি অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য এবং উদ্ভাবনী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, ভালো ব্যবসায়িক অনুশীলন, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজের মতো মূল সর্বজনীন নীতিগুলো প্রচার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কৌশলগত বিষয়ে কিছু না বলার শর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে চাই না। নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকায় এটি গোপনীয়। উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে তাদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। "এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। তারা (মিয়ানমার) তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়।’
শুধু মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। এর আগে শতাধিক মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচি পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার নামান্তর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগমনের বিষয়ে তারা প্রতি মুহূর্তেই গণমাধ্যমকে জানায়। 'কোনো লুকোচুরির সুযোগ নেই'
তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক তা আমরা কখনোই দেখতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অবৈধ মাদকসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেখানকার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এই সফরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে তা দেখে তিনি অভিভূত।
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুরোনো গাড়ি চালু করতে সময় লাগে। ‘বিএনপি একটি পুরোনো গাড়ির মতো। সামান্য নড়াচড়া করার পর থেমে যায়।’
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবে ও গণতন্ত্রের পথে চলবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত বুধবার 'স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১' ও 'বিকশিত ভারত-২০৪৭' রূপকল্পসহ দুই দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'আমাদের আলোচনা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও দৃঢ় করবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদের প্রথম ভারত সফর এবং কোনো দেশে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে অভাবনীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী