তিনি আরও বলেন, ‘তারা দেশ ও জাতির পাশে না দাঁড়িয়ে মিথ্যাচার, গুজব ছড়ানোকেই পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়েছে। এ মিথ্যাচার ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যোদ্ধাদের মনোবল নষ্ট করার অপপ্রয়াস।’
বুধবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকার জোনভিত্তিক লকডাউন কার্যকর করার পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি, টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে এবং সব ধরনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
নমুনা পরীক্ষা নিয়ে একটি অসাধু চক্র সক্রিয়, তাদের অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে শুরুতেই কঠোরহাতে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আবারও বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট।
ওবায়দুল কাদের হুশিয়ারি করে দিয়ে বলেন, ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে যেমনি কঠোরভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে তেমনি চিকিৎসা সরঞ্জাম অনিয়মের বিরুদ্ধেও সরকার শূন্য সহিষ্ণুতা বজায় রাখবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনো ভীড়ে, জটলায়, বাজারে, কর্মস্থলে অনেকে মাস্ক ব্যবহার করে না, সংক্রমণ গোপন করছে, এ শৈথিল্য, অবহেলা সর্বগ্রাসী করোনার কাছে নিজেকে এবং আশপাশের সবাইকে নিয়ে আত্নসমর্পণের শামিল।
সরকার নতুন করে সংক্রমিত এলাকার ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোন করতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের মাঝে সুসমন্বয় গড়ে তুলে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংক্রমণ রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত কার্যকর সমন্বয় গড়ে তুলারও আহ্বান জানান।