‘অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে ঋণ খেলাপিরা ব্যাংকের ১১ হাজার ১২০ কোটি টাকা গ্রাস করে রেখেছে। যারা ব্যাংকগুলোকে হাঙরের মতো লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে না তা আমি জানতে চাই। এই ব্যাংক লুটকারী ও ঋণ খেলাপিদের ধরার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
কারাগার থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত মানববন্দন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি অভিযোগ করেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই আওয়ামী লীগের নেতারা ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত বলে ‘মিথ্যা প্রচারণা’ চালাচ্ছে।
ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা। ‘যে সব মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেগুলো জামিনযোগ্য হলেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি যথেষ্ট নয়। ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমাদের অবশ্যই রাস্তায় নেমে জোরালো আন্দোলন করতে হবে।’
এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ‘বড়’ দুর্নীতিবাজদের প্রভাবের কারণে সরকারের সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চালানো অভিযান গতি হারিয়েছে।
‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকার ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো, জুয়া ও মাদকের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে তথাকথিত অভিযান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ৬-৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ অভিযানে ব্যাগ থেকে বিড়ালরা বেরিয়ে আসায় অভিযানের গতি কমে গেছে।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি দূর করতে সরকারের যদি সৎ থাকতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে আওয়ামী লীগে থাক দুর্নীতিবাজদের দ্রুত চিহ্নিত করা। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে চাইলে এর সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার করুন, শুধু চুনোপুঁটিদের ধরলে এ অভিযান সফল হবে না।’