তিনি বলেন, ‘ধর্মহীন নয় বরং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের প্রকৌশলীরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) কাউন্সিল হলে ‘সংগ্রাম ও স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতা এবং সমৃদ্ধি’ বিষয়ক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:মৌলবাদী শক্তি নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত সজাগ থাকার আহ্বান তাপসের
ফারুক খান বলেন, ‘প্রকৌশলীরা দেশের সোনার সন্তান। তারা পদ্মা সেতুসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন, যা প্রধানমন্ত্রীও প্রশংসা করেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রকৌশলীদের প্রকল্পগুলো সময় মতো এবং মানসম্পন্নভাবে শেষ করারও তাগিদ দেন।’
দেশের প্রকৌশলীরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সব সময় সামানের সারিতে থাকবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:রাজনৈতিক মদদেই ফণা তোলার অপচেষ্টা করে মৌলবাদী অপশক্তি: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে আঘাত করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, দেশের জনগণের ওপর আঘাত। জাতির পিতার ভাস্কর্যের ওপর আঘাত কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই ভাস্কর্যে আঘাত করেছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। দেশের প্রকৌশল সমাজ প্রযুক্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রাকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এর সমোচিত জবাব দেবে।’
আরও পড়ুন:মৌলবাদীদের হাতে ভাস্কর্য থাকা না থাকার ইজারা দেয়নি জনগণ: প্রতিমন্ত্রী
আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি এবং ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি), আইইবি প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান এবং আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:মৌলবাদীগোষ্ঠীর অপচেষ্টা রুখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী আব্দুল জব্বার খান।