বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২২ বাংলাদেশে ভয়াবহ গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি চিত্রিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনটি পড়ে আমি লজ্জিত হয়েছি কারণ এতে দেখানো হয়েছে যে এখানে (বাংলাদেশ) গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই।’
এক আলোচনা সভার বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, প্রতিবেদনে কীভাবে মানুষ ক্রসফায়ার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে। ‘কীভাবে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকরা কীভাবে সত্য প্রকাশের অধিকার হারিয়েছে, সে বিষয়েও প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে… দেশের এমন ভয়াবহ চিত্র প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কে এম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এর আগে সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার চর্চা-২০২২ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে গত সাধারণ নির্বাচন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বলপূর্বক গুম, এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অভাব, শ্রম অধিকার এবং সমাবেশ করার স্বাধীনতা।
তবে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে কিছু মৌলিক ত্রুটি রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন বলছেন, বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও দেশটি নিজের দিকে তাকায় না। ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করছে যেভাবে তারা নিজেদের দিকে তাকায়।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে কাজ করছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দমনমূলক ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
বিএনপি নেতা বলেন, সারাদেশ এখন কারাগারে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী ‘মিথ্যা’ মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের