ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনি বক্তব্য হতাশাজনক: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের বক্তব্যকে 'অস্পষ্ট ও হতাশাজনক' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচন সংক্রান্ত বার্তা অস্পষ্ট।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করবেন। ' কিন্তু তিনি তা করেননি। এটা আমাদের জন্য যেমন হতাশাজনক, তেমনি জাতির জন্যও হতাশাজনক।’
ফখরুল বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে, সেহেতু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। ‘খুব তাড়াতাড়ি এটা করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিব যে 'পরস্পরবিরোধী বক্তব্য' দিয়েছেন তা নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারের সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এরপর মঙ্গলবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আশা করা যায় ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটি সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ আর কী হতে পারে? ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার আশা করা যায়। এটি একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ ‘
আরও পড়ুন: অসুস্থ ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সাভার সিএমএইচে
৪ দিন আগে
তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ফখরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও দলীয় বিষয়ে আলোচনা করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ফিরলে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেবেন। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে ‘ইউনিক নেতৃত্ব’ দিয়েছেন তারেক রহমান: ফখরুল
৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে এ ধরনের পদক্ষেপ প্রতিহত করতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের এক কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'আমার একটাই অনুরোধ, আমরা যা অর্জন করেছি তা যেন বৃথা না যায়, কারণ সীমান্তের ওপারে একজন ফ্যাসিস্ট (হাসিনা) বসে আছেন।’
ঠাকুরগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদ 'ছাত্র সমাবেশ ২০২৪' নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, ভারতে বসে ফ্যাসিবাদী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে এবং একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনার উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এসব ঘটনার পর তারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের দেশ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে, যেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তারা এ ধরনের ঘটনার জঘন্য প্রমাণ ভারতীয় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করছে।
তিনি বলেন, ‘আসলে তা নয়। কারা করছে এসব কাজ? কেন তারা এগুলো করছে? আমি এটা বলছি কারণ আমাদের আনন্দিত হওয়ার সময় নেই যে আমরা জিতেছি। সব শেষ হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদী প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করবেন না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশপন্থী শক্তির মাথার ওপরে এখনো একটি তলোয়ার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (ফ্যাসিবাদী শক্তি) আমাদের সর্বত্র খারাপের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো তাড়াহুড়ো বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে হবে, যাতে কেউ এতে প্ররোচনা দিতে না পারে।’
আওয়ামী লীগ ব্যাপক পরিকল্পনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে এবং সর্বত্র লুটপাট, ঘুষ ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একটি জালিম সরকারকে উৎখাতের জন্য একসময় ঐক্যবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ‘এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, কারণ এটি একটি ষড়যন্ত্র। আপনাদের (ছাত্রদের) দায়িত্ব তাদের বোঝানো যে, এটা এভাবে নয়। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হই, যখন দেখি ধর্মের নামে ইসকনের নামে একজন আইনজীবীকে রাস্তায় হত্যা করা হয়েছে।’
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ছাত্রদের ধন্যবাদ জানান ফখরুল। শক্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রায় অসম্ভব, কিন্তু আপনাদের সাহস এটা সম্ভব করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যখনই ছাত্রদের সঙ্গে জনগণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখনই বিজয় অর্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য গঠনে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান বিএনপির
৩ সপ্তাহ আগে
ফখরুলের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সার্ক নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্ককে সক্রিয় করা সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা আবেদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। বিএনপি সরকারের আমলে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে আমরা ভুটান থেকে আমদানি করা সবজির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিলাম।’
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, তারা ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভুটানের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন। ‘আমরা সহযোগিতার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ ভুটানের প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। তারা এখনও এই সম্ভাবনার ২৫ হাজার মেগাওয়াট অনুসন্ধান করতে পারেনি, যা থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে।
খসরু বলেন, আলোচনায় সার্ককে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তর সংহতি জোরদারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একীভূত করা, যে স্বপ্ন আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার সংহতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
১ মাস আগে
নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে মাথা উঁচু করছে।
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষণীয় হলো- বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য ও আলোচনার কারণে ফ্যাসিস্টরা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু গণমাধ্যম এটা প্রচার করছে, যা কোনোভাবেই মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট মিলনায়তনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
তিনি গণমাধ্যমকে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ‘এই প্রবণতা রোধে তরুণদের একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান ফখরুল।’
ফখরুল বলেন, জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন জাতি হাতছাড়া না করে। ‘এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে চাই।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-রাজনীতিবিদসহ সব মহল সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, 'গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কার করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে এই প্রত্যাশা থেকেই আমরা তাদের এ দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের আকাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
ফখরুল বলেন, আমরা বারবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করেন জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার উদ্যোগ সফল হতে পারে না। ‘এ ধরনের অংশগ্রহণ কেবল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, সংসদকে কার্যকর করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চর্চা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় তরুণরা যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার জন্য রক্তসহ এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা এখন রাজনীতিবিদদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
সাকি আরও বলেন, দেশকে গণতন্ত্রের সঠিক পথে রাখতে এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ মাস আগে
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে আবারও নতুন বিপদে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বিপদ এখনও কাটেনি। নতুন বিপদ সামনে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আবারও গণতন্ত্রকে দুর্বল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে মহিলা দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলতেন। তার কারণে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেই ভয়ংকর দানবকে সরিয়ে দিয়ে ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এটা সত্য যে, শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে জনগণের সেবা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম সরকার।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কেউ দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। ‘বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করে আমরা এগিয়ে যাব এবং নিঃসন্দেহে নির্বাচনে জিতে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ মাস আগে
অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
অন্যান্য ইস্যু থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন না হয়।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'অন্য ইস্যুতে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দিন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে তারা (সরকার) এটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে। যদিও আমরা এটিকে বড় ইস্যু মনে করি না। আমরা আশা করি কমিটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
এই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। তারা চায় এটা অব্যাহত থাকুক। আমার অনুরোধ, আপনারা সজাগ থাকুন, যাতে আপনার অবস্থান ক্ষুণ্ন না হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
১ মাস আগে
ফখরুলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ছাত্রনেতাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও প্রধান সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন ও আকতার হোসেন।
১ মাস আগে
গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ডিএসসিসির ময়লার গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
খালাস পাওয়া অন্য ৬ জন হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।
মির্জা ফখরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষী না আসায় বিচারক আসামিদের খালাস দেন।
শুনানির সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানা এলাকায় মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটনায় ডিএসসিসির গাড়িচালক মো. আয়নাল বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
২ মাস আগে
ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াংসিক বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকা ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাজভিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বৈঠক শেষে ড. মঈন সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দেশ শুধু দুর্নীতিতে জর্জরিতই হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনার পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার উপস্থিতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ‘বরং এর মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানো।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতি উভয় দেশের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধার মধ্যে নিহিত।
তিনি বলেন, ‘এই নীতি অনুসরণ করে আমরা অতীতে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ যদি বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে, তাহলে উভয় পক্ষের সম্প্রীতি বজায় রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে আমরা বাংলাদেশি ও কোরিয়া উভয়ের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেব।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
২ মাস আগে