ফখরুল
শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ফখরুলের
গুম করে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে 'মায়ের ডাক' আয়োজিত মানববন্ধন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান।
ফখরুল আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গুমের ঘটনাগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করতে ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের কান্না থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করি সরকার বাবা হারানো শিশু, ভাই হারানো বোন ও ছেলে হারানো মা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য প্রকাশের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এসবের জন্য যেই দায়ী হোক না কেন, তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের চেয়ে ভয়াবহ আর কিছু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, সকলেই জানেন যে জোরপূর্বক গুম মানবতার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অপরাধ এবং এই ধরনের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখন প্রমাণিত হয়েছে যে হাসিনা এই হত্যাকাণ্ড ও গুমের জন্য দায়ী। তার বিচার এই দেশেই হওয়া উচিত এবং তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।’
পড়ুন: দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস
তিনি ভুক্তভোগীদের পরিবারকে আশাহত না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না এবং অতীতেও কখনও ব্যর্থ হয়নি, যা গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তরুণ প্রজন্ম এমনকি শিশুরাও একদিন তাদের বাবা ও ভাইদের প্রতি করা অন্যায়ের বিচার দেখতে পাবে।
তার দলের পক্ষ থেকে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে বিএনপি সর্বদা ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, এখন তাদের সাথে আছে এবং চূড়ান্তভাবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে থাকবে।
বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
অন্তর্বর্তী সরকার গুম কমিশনকে শক্তিশালী করে এই ধরনের জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জনসাধারণের সামনে গুম কমিশন উপস্থাপন এবং শুনানি করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভুক্তভোগীদের মা, ভাই এবং অন্যান্য আত্মীয়দের কষ্ট লাঘব করতে এবং কান্না থামাতেও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
তিনি বলেন, তাদের দাবি সবসময়ই ছিল যে এই ঘটনার বিচার করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি বাবা হারানো শিশুদের পাশে থাকবে। বিএনপির দাবি সবসময়ই ছিল যে এই ঘটনাগুলোর বিচার করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা ভুক্তভোগীদের পরিবারের কষ্টের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
পড়ুন: গুম-নির্যাতনের প্রমাণ সংরক্ষণে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার আহ্বান ড. ইউনূসের
কাঁদতে কাঁদতে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের সময় অনেককে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে, এমনকি একটি পরিবারের সাতজন সদস্যকেও গুম করা হয়েছিল। বাবা-মা হারানো শিশুদের দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যায়, কারণ আমি তাদের খুব ছোটবেলা থেকেই জানতাম। এখন তারা তাদের প্রিয়জনদের ছাড়াই বড় হচ্ছে।’
তিনি ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমরা নিখোঁজদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে থাকব।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি এই অপরাধের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য নির্বাচন চায়। ‘জোরপূর্বক গুম কখনও আমাদের ইতিহাসের অংশ ছিল না। এই দানবীয় হাসিনার শাসনামলে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এগুলো করা হয়েছে।’
১০৪ দিন আগে
বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে: ফখরুল
বিএনপি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমরা কখনই পিআর সিস্টেম মেনে নেব না, কারণ এ দেশের মানুষ এর সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তারাও এটি জানে না বা বোঝে না।’
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিছু সময় ব্যবহারের পর বাতিল করা হয়েছে এবং পিআর সিস্টেম সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা নেই। ‘তাই, এটি গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।’
পড়ুন: উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি ভোটারদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে বাধা দেয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কারণ এটিই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায়।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আছে।
ফখরুল বলেন, পিআর ব্যবস্থায় ভোটাররা জানেন না যে তারা কাকে ভোট দিচ্ছেন। ‘এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আশা করেন সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ১৩ আগস্ট ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান।
গত ১৩ মে চোখের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
১০৭ দিন আগে
পাইলট তৌকিরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানালেন ফখরুল
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) ফখরুল বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার্স মেসে গিয়ে তৌকিরের স্ত্রী আকসা হোসেন নিঝুমের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তার বাবা ও মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, স্ত্রী নিঝুম এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এই কঠিন সময়ে পরিবারের প্রতি দলের পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতির আশ্বাসও দেন তিনি।
ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিমান ও সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) ফখরুল আজম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফজলে এলাহী আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) একেএম শামসুল ইসলাম শামস এবং কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) শামসুজ্জামান খান।
পড়ুন: বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচার হাসিনা: রিজভী
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও এই সফরে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার(২১ জুলাই) উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে একজন দক্ষ পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম প্রাণ হারান। পরে তাকে রাজশাহীর নিজ গ্রাম সপুরায় দাফন করা হয়।
সাগর নামেও পরিচিত তৌকির রাজশাহী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরে তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।
মাত্র এক বছর আগে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিঝুমকে বিয়ে করেছিলেন।
বিএনপি নেতারা পৃথকভাবে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর গ্রামে স্কুল শিক্ষিকা মাসুকা বেগম নিপুর কবর জিয়ারত করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে তিনি মারা যান।
অ্যানি তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বিএনপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে তিনি মাসুকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন।
এদিকে, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বুগুলাগাড়ি গ্রামে শিক্ষিকা মেহেরিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেন।
শ্রেণিকক্ষে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে মেহেরিন মারা যান। আফরোজা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
পড়ুন: উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সমবেদনা জানালেন ফখরুল
নীলফামারী এবং লালমনিরহাটের মহিলা দলের নেতারাও পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান আনিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।
তিনি রাজধানীর দিয়াবাড়ী এলাকায় নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, এ জেড জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দলের এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৩২ দিন আগে
হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে গেলেন ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
শনিবার(১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তারা ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে তাকে দেখতে যেতে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক নেতা অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব। এজন্যই আমরা এখানে জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
তিনি ডা. শফিকুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জামায়াতের একজন নেতা বিএনপির প্রতিনিধিদলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সন্ধ্যায় ডা. শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দলের প্রেস উইং জানিয়েছে, ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তার রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে জামায়াত।
১৩৮ দিন আগে
পুরান ঢাকায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত দাবি ফখরুলের
পুরান ঢাকার এক ভাঙারি ব্যবসায়ীসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে স্পষ্টভাবে এই ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১৪২ জন শহীদের পরিবারের সঙ্গে শনিবার (১২ জুলাই) এক মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা সতর্ক করে বলেন, যদি তা না করা হয়—তাহলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন জাতি সরকারকে ক্ষমা করবে না। এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য সরকারকেই দায়ী করবে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের তাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতি আমি ধৈর্য ধরে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করার অনুরোধ করছি। আমাদের মধ্যে কেউ যেন কোনো অন্যায় কাজ না করে—তা নিশ্চিত করুন। বিএনপি কখনও অন্যায়কে সমর্থন করেনি, করবেও না। বিএনপি সর্বদা আইনের শাসনের পক্ষে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী এবং ছাত্রদলের বীর শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যায় ভিডিও থাকার পরেও হামলাকারীদের ধরা হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তারেকের
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও কাঠামোর পরিবর্তন চাই। তারপরে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে চাই। গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং এর প্রথম ধাপ হলো নির্বাচন।’
বিএনপি নেতা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনের অনুপস্থিতিকে দায়ী করে বলেন, অপরাধীরা নির্বাচিত সরকার না থাকার সুযোগ নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের নির্বাচিত সরকার অবশ্যই আরও শক্তিশালী এবং জবাবদিহিতামূলক হবে। আমি আশা করি ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’
ফখরুল ছাত্রদলকে তার শহীদ সদস্যদের আত্মত্যাগের লিপিবদ্ধ করে একটি বই তৈরি করার পরামর্শ দেন।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে এবং তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে এমন আশ্বাসও দেনে বিএনপির এই নেতা।
ফখরুল জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতি আহ্বান জানান।
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এক আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, আরেকজনের দায় স্বীকার
১৪৫ দিন আগে
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা বাংলাদেশি পণ্যের উপর সম্প্রতি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পণ্যের উপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো তৈরি পোশাক। যদি এই খাতটিতে এত বেশি শুল্কারোপ করা হয়, তাহলে এটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে এবং ঘুরে নাও দাঁড়াতে পারে। এতে আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ছাত্র ও জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
ফখরুল বলেন, মার্কিন শুল্কারোপের বিষয়টি দেশ ও আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ‘অন্তর্বর্তী সরকার এতে কতটা মনোযোগ দিয়েছে— তা আমি নিশ্চিত নই। তাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিল এবং সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ছিল।’
পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসের নির্দেশে দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে ইসি, আশা ফখরুলের
তিনি মনে করেন, সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। শিল্প রক্ষা, বিশেষ করে নারীদের চাকরির সুরক্ষা এবং অর্থনীতির আরও ক্ষতি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপি মহাসচিব সীমান্ত হত্যা এবং পুশ-ইনের ঘটনাগুলোর বিষয়টিও তুলে ধরেন। সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকে এই বিষয়গুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্ত হত্যা এবং পুশ-ইনের বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি না। সংবাদপত্রে ছোট ছোট অংশে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। আমি সকল সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম পেশাদারদের অনুরোধ করছি, তারা যেন এই বিষয়গুলোকে তাদের প্রাপ্য গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন। এগুলো কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়। সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’
ফখরুল অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারতের সঙ্গে এই বিষয়গুলো জোরালোভাবে উত্থাপন করারও আহ্বান জানিয়েছেন। ‘ভারতের সঙ্গে যথাযথ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো আলোচনার একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসা উচিত,’ বলেন তিনি।
ফেনীতে সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর ন্যায্য পানি বণ্টনের অমীমাংসিত বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টনের বিষয়টি মীমাংসা হয়নি। ফেনীতে ইতোমধ্যেই বন্যা শুরু হয়ে গেছে। বর্ষা অব্যাহত থাকায় আরও বন্যা হতে পারে। পানির সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জোরালোভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়ে বলেন, সহনশীলতা এবং অনুশীলন ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। কিন্তু সেই ঐক্য কোথায় থাকা উচিত? আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এটি থাকা উচিত। আমি আপনার সঙ্গে একমত নাও হতে পারি, তবে আপনার মতামত প্রকাশের অধিকার রক্ষার জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব—জাতীয় ঐক্যের অর্থ এটাই।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র অর্জনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন মতামতের প্রতি সহনশীলতা অপরিহার্য। ‘দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে আমরা কখনও সেই চেতনায় গণতন্ত্র অনুশীলন করিনি। গণতন্ত্র একটি সংস্কৃতি এবং এটি অনুশীলন না করে আমরা কীভাবে এটি অর্জনের আশা করতে পারি?’ সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি।
পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব একটা চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল
তিনি তরুণদের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমরা বারবার লড়াই করেছি। এখন, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক জাতি গঠনে সফল হওয়ার জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
১৪৭ দিন আগে
শিল্পী ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা ফখরুলের
দেশের কিংবদন্তী লালন সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৯ জুলাই) মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফরিদা পারভীন লালন সঙ্গীতের এক অনন্য শিল্পী। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীদের একজন। তিনি বহু বছর ধরে সঙ্গীত জগতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং সম্মানের সঙ্গে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন।’
প্রায় ৭০ বছর বয়সী এই সঙ্গীত শিল্পী ৫ জুলাই থেকে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ফখরুল বলেন, ‘তিনি কিডনি সমস্যা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা তার যত্ন নিচ্ছেন, তবে তার অবস্থা এখনও সংকটময়। আমি সরকারকে আহ্বান জানাই, যেন এমন একটি প্রতিভাবান ও সম্মানিত শিল্পী, যিনি সারা বিশ্বে প্রশংসিত, তার চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করা হয়।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারকে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে তিনি সর্বোত্তম চিকিৎসা পান। প্রয়োজনে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
পড়ুন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব একটা চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এটাই জাতির চাওয়া… আমি প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তিনি সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান।’ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, এর মধ্যে কিডনির সমস্যা অন্যতম।
ফখরুল তাকে দেখতে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিল্পীর চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি শিল্পীর পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান জানান, ফখরুল সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ফরিদা পারভীনের চিকিৎসার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জল, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সৈয়দ সোহরাব, জাসাস সভাপতি হেলাল খান এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন।
১৪৮ দিন আগে
মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
জাতীয় নির্বাচনের পর প্রাসঙ্গিকতা হারানোর আশঙ্কায় মঙ্গলবারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(১৮ জুন) ঢাকা মহানগর বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর বিএনপির তুরাগ ইউনিটের নতুন সদস্যপদ ফর্ম বিতরণ এবং সদস্যপদ নবায়ন অভিযান শুরু করার জন্য সানবিমস স্কুল প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বৈঠকের ফলাফলে খুশি নন, কারণ নির্বাচন তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শেষে জনগণের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসবে।
জামায়াতের প্রতি তির্যক ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দল কতটা প্রভাব বজায় রাখবে তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন। ফখরুল বলেন, ‘এ কারণেই তারা হতাশ এবং গতকাল (মঙ্গলবার) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।’
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত যোগ দেয়নি।
১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হওয়ার পর দলটি কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।
ফখরুল বলেন, যখন আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি উপযুক্ত না হওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছিল এবং বিভাজন দেখা দিচ্ছিল, তখন তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একমত বিএনপি
তিনি এই বৈঠককে একটি বিরল এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ এটি একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত করে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক উভয়ই নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে রমজানের এক সপ্তাহ আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একেই আমরা রাষ্ট্রনায়কত্ব বলি। বিভাজন বা সংঘাতকে উসকে না দিয়ে, এই দুই নেতা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করেছেন।’
১৬৯ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে একমত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে এই বৈঠকটি সত্যিই একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।’
বৈঠকের পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত এপ্রিল থেকে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার প্রস্তাব করেছিলেন তারেক রহমান। কারণ, সেই সময়টি ভোটের জন্য অনুকূল নয়। ‘প্রধান উপদেষ্টা এতে সম্মত হওয়ায় সমগ্র জাতি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে এবং তারা (সরকার) ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি তার বিচক্ষণতা ব্যবহার করে তারেককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এইভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে জাতিকে নতুন আশা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ফখরুল বলেন, বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে আলোচিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়টিই প্রধান।
তিনি বলেন, অতীতের ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংহত করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন জরুরি।
ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া, রক্তপাত করা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারেক সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এছাড়াও, ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি শিগগিরই পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে: ড. খলিলুর
এর আগে, লন্ডনে তাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা এবং ভারপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব করেছিলেন যে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারেক রহমানকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
১৭৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি: গয়েশ্বর
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
১৭৭ দিন আগে