ফখরুল
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ‘শ্রমিক-কর্মচারি’ কনভেনশনে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজ ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
তিনি দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা নেই। তারা যে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার কথা বলে, তা এখন 8 কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে... এটা ব্যাংকে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, যাতে তিনি রাজনীতি করতে না পারেন।’
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার গুরুতর শারীরিক অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় বন্দি রেখে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার ভয়ঙ্কর দানব, লুটেরা, 'বর্গিদের' মতো সরকার। তারা বিদেশে সম্পদ পাচার করে বাগান তৈরি করছে। আর আমার দেশে মানুষ অসহায় ও ক্ষুধার্ত।’
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই শ্রমিক শ্রেণী অতীতে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রমিকরাই এবার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
‘ইনশাআল্লাহ, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। আমরা এই সরকারকে পদত্যাগ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব।’
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ যৌথভাবে ‘দ্রব্যমূল্য, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি এবং ন্যূনতম মজুরি’ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।
আরও পড়ুন:দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজ যখন তিনি (খালেদা জিয়া) জীবনের সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তখন তাকে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বন্দ নন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রীও।
তিনি বরেন, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেশের সেবা করেছেন।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
শুক্রবার বিকালে ঢাকার উত্তরায় সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এক দফা দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর শাখা বিএনপি হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে আব্দুল্লাহপুর পলওয়াল সুপার মার্কেটসংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। শিগগিরই তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
তার পরিবার, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির দাবি সত্ত্বেও সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো উচিত।
ফখরুল বলেন, কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর উদাহরণ রয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল।
সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও উত্তর শাখার নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন খালেদা।
করোনাভাইরাসপ্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
অবিলম্বে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আদিলুর রহমান খান বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার কমিশন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আদিলুর। আর এ কারণেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায় ও তাদের বিরুদ্ধে সাজার নিন্দাও জানান বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, আদিলুর একজন সাধারণ মানবাধিকার কর্মী নন। তিনি সারা বিশ্বে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত ও সম্মানিত।
আরও পড়ুন: সরকার কমিশন পাওয়ার জন্য ১০টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ কিনছে: ফখরুলের অভিযোগ
ফকরুল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে প্রস্তাবে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বললেই চলে। তারা বলেন- বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার খুবই খারাপ এবং পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আজ কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অধুনালুপ্ত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদিদুল রহমান ও নাসিরুদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইনকে খারাপ আইন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের সবকিছুই প্রতারণা। তারা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা বোঝে না যে মানুষ বোকা নয় তাদের প্রতারণা সবাই বোঝে।
ফখরুল বলেন, এই আইন (সাইবার নিরাপত্তা আইন) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চেয়েও খারাপ। এ আইনে পুলিশ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে এবং মামলা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর একটা কারণ আছে। এই আইনে আপনি আটকা পড়েছেন, বাঁধা পড়েছেন, কেউ কথা বলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা বলছি না যে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শুধু দেশ মুক্ত করুন, জাতিকে মুক্ত করুন।
তিনি বলেন, সরকার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে। তাই গণতান্ত্রিক ও মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফহকরুল ইসলাম আরও বলেন, জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করাটা ধোকা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
বিচারব্যবস্থা সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে: ফখরুল
সরকারের দুঃশাসনে বিরক্ত জনগণ পরিবর্তন চায়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের জনগণ অন্তর থেকে সরকারের পরিবর্তন চায় কারণ তারা দুঃশাসনে হতাশ হয়ে পড়েছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করে বর্তমান সরকারের পতনের জন্য যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (মন্ত্রীরা) যাই বলুক কিছুই অর্জন করতে পারবে না। মানুষ এখন তাদের হৃদয়ের গভীর থেকে পরিবর্তন চায়। প্রতি মুহূর্তে এ দেশের মানুষ এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: ‘সেলফি’ সরকারকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, খাদ্য-বস্ত্রসহ সবকিছুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ ও অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমি দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সব তরুণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাতে চাই... আসুন আমরা সবাই মিলে এই ফ্যাসিবাদ দূর করতে এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই লড়াই করি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মহামারিতে রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু: বিএনপি
তিনি বলেন, বর্তমান দানব শাসন জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দেশ শাসন করছে। ‘যেহেতু সময় কম, তাই চলুন এগিয়ে যাই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ভাসানী আনুসারী পরিষদ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
আধিপত্য বিস্তারের জন্য বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে সরকার বড় শক্তিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারের অনভিজ্ঞ কূটনীতির কারণেই বড় শক্তিগুলোর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
একটি সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চীন ও রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের স্বার্থ প্রচারের চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে আসার পর যা বলেছেন তাতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়েছে যে, আধিপত্যের লড়াইয়ে বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রভাবের ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে। এটা খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও জাতির জন্য বিপদ ডেকে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, তারা (সরকার) দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি দিচ্ছে এবং বাংলাদেশকে এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য তাদের কূটনীতি অযৌক্তিকভাবে পরিচালনা করছে।
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রা বের করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। ১৯৭৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দলের নারী শাখা হিসেবে মহিলা দল গঠন করেন।
ল্যাভরভ দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, মস্কো এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিষ্ঠার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করবে।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে শুক্রবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এটি ছিল রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে সফল করতে মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে যে, যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে (আগামী) নির্বাচন করব।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা কোনো ধরনের সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে তাদের এক দফা দাবি আদায় করতে চান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করাই বিএনপির লক্ষ্য।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ রাজপথে নেমে আসায় বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য।
আরও পড়ুন: সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গুণীজনদের ন্যূনতম সম্মান দেখাতে জানে না। ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তারা (সরকার) এখন তার বিরুদ্ধে এমনভাবে লেগেছে, যেন তাকে জেলে ঢুকিয়েই ছাড়বে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন মন্ত্রী বলেছেন, এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও জেলে যেতে হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এক নয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনারা তাকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন এবং শত্রুতার কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে তাকে নির্যাতন করার চেষ্টা করছেন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ইস্যু করে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ড. ইউনূসের ওপর নির্ভর করার কোনো কারণ নেই। আমরা এ দেশের মানুষের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের জনগণই সব ক্ষমতার উৎস এবং জনগণ তাদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে ও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করবে।’
তিনি বলেন, তাদের দল সরকার পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে জনগণের কাছে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
ফখরুল বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান না কেন? কারণ, এটা খুব ভালো করেই জানেন, আপনারা যদি তা করেন তাহলে ১০টি আসনও পাবেন না।’
স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে নব্বই দশকের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের বিএনপিপন্থী ছাত্র নেতারা এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বইটি লিখেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করতে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে বড় দল-ছোট দল-মাঝারি দল …. এটা বড় কথা নয়। বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য নাকি গণসংহতি আন্দোলন না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজকে বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন। এদের অস্তিত্বকে রক্ষা করার আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সরকারকে পদত্যাগের বার্তা দিতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান এই বিএনপি নেতার।
তিনি বলেন, ‘আসুন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা আমাদের রাজপথে নেমে পড়ি। যেখান থেকে আমরা উচ্চারণ করব আর নয়…. এক দফা দাবি … তুমি যাও। এনাফ ইজ এনাফ। এখন দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণের একটা রাষ্ট্র, জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের সমাজ তৈরি করবার ব্যবস্থা করে দাও।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি দেন, ‘অন্যথায় পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… এটা আমি বারবার বলেছি। অতীতে দেখবেন স্বৈরাচারী শাসকেরা কিন্তু পালাবার পথ খুঁজে পায় নাই।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র মঞ্চের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক। তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক এবং মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। এখন আর একমূহুর্ত দেরি না করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, তাদের ভোট ও অন্যান্য সকল অধিকারের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাও এখন প্রয়োজন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুব আনন্দিত। প্রথমবারের মতো আজকে আমরা এখানে যা্রা আছি কিংবা তার বাইরেও যারা আছেন; আমরা সবাই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এই একটি দাবিতে এক হয়েছি।
তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সংসদ পুনর্গঠন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, তাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জটিল রোগে ভুগলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার তাকে বিদেশে উন্নত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, লাখ রাখ মানুষের রক্তের মধ্যদিয়ে এই রাষ্ট্রটা নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজকে টিকে থাকবে কিনা সেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে আমাদের রাষ্ট্রটাকে একটা দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং একটা নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা শুধু জনগণের অধিকার হরণ করেছে তাই নয়, জনগণের সম্পদ লুট করে এদেশকে দেউলিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগোষ্ঠির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে পুরো রাষ্ট্রকে তার অস্তিত্বের দিক থেকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ ফখরুলের!
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে বাংলাদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা আর হতে দেবে না। জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোট ও জনগণের হারানো অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির চলমান এক দফা আন্দোলনকে সফল করার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা (আ.লীগ) ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা এদেশের জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আরেকটি একতরফা নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে এবং খালি মাঠে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসুন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এই দানব সরকারকে প্রতিহত করতে হবে, দমন করতে হবে এবং পরাজিত করতে হবে। এই সরকার আমাদের জাতি এবং আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করছে। আমাদের দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা এগিয়ে যাই ও বিজয় অর্জন করি। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ঋণ শোধ করি, যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বর্তমান আন্দোলনের মুখে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা করছে। ভয়ে তারা গণতন্ত্রের সৈনিকদের নিবৃত্ত ও দমন করার উপায় খুঁজতে মরিয়া।
তিনি বলেন, তাদের দলের একমাত্র লক্ষ্য বর্তমান আন্দোলনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করা।
আমাদের এই আন্দোলন থেকে পিছু হটবার কোন উপায় নেই।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব: ফখরুল
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধান বিষয়টিকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে অভিহিত করেছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে এক সেমিনারে বক্তৃতায় ফখরুল এ যুক্তি দেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
কারণ এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, এই সংকট (গণতন্ত্রের অভাব) শুধু বিএনপিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এর চেয়ে বড় সংকট এর আগে আর আসেনি। আমরা কথা বলতে পারি না, বিচার, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা পাই না... এটা তো চলতে পারে না।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পত্রিকাটি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধীরে ধীরে, গোপনে ও নীরবে হরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, এই সেমিনারের মাধ্যমে আমি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ব সম্প্রদায় ও জনগণকে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
বিএনপি এদিন রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রোহিঙ্গা সংকট ও প্রত্যাবাসন কৌশল’- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহায়তায় সমস্যার সমাধান করবে।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট না থাকায় আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আওয়াজ তুলতে পারে না। তাই এই সরকারকে অপসারণ না করলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বারবার সহিংসতা ও গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়ায় তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই সেমিনারের আয়োজন করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে সেখান থেকে উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে কিংবা দেশে আবার সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না।
তার মূল বক্তব্যে খসরু বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে চলমান মানবিক ট্র্যাজেডি টেকসই এবং অর্থবহ পদক্ষেপের দাবি রাখে। গণহত্যার ছয় বছর অতিবাহিত হলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির অভাব গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। সত্য এই যে আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকেও প্রত্যাবাসন করা যায়নি।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একটি ব্যর্থ প্রত্যাবাসন চুক্তির পর মিয়ানমার এখন একটি নতুন চুক্তির অধীনে ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তা দাবি করে, মংডু শহরের মডেল গ্রামগুলো একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পের অংশ।
খসরু বলেন, আমরা এই নতুন প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টাকে একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছি, যা শুধুমাত্র বিশ্বের ভুলে যাওয়া সংখ্যালঘুদের একটি নিপীড়নকে স্থায়ী করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ৯০-এর দশকের শুরুতে দুইবার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করেছে। উভয় সময়েই আমাদের দল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সামরিক শাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে।
খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা আমাদের জাতীয় ও বৈদেশিক নীতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে। এই জটিল সংকটের স্থায়ী সমাধানের দিকে নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
নাশকতার মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জনের বিচার শুরু
১১ বছর আগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানার দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
মামলার অপর আসামিরা হলেন- যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে অগঠনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্কাটনের মিন্টো রোড থেকে ময়লার গাড়ি নিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল থেকে বিজয়নগরের দিকে আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ জন গাড়ি থামিয়ে হেলপারকে মারধর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তারা গাড়িও ভাঙচুর করেন। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পল্টন থানায় মামলা করেন আয়নাল।
মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মারা গেছেন শফিউল বারী বাবু।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ