ফখরুল
ফখরুলের সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সার্ক নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্ককে সক্রিয় করা সহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা আবেদ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর খসরু সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি না, তা ঠিক করবে জনগণ: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সবসময়ই ভালো। বিএনপি সরকারের আমলে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে আমরা ভুটান থেকে আমদানি করা সবজির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছিলাম।’
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, তারা ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মাধ্যমে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভুটানের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন। ‘আমরা সহযোগিতার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ ভুটানের প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। তারা এখনও এই সম্ভাবনার ২৫ হাজার মেগাওয়াট অনুসন্ধান করতে পারেনি, যা থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে।
খসরু বলেন, আলোচনায় সার্ককে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বৃহত্তর সংহতি জোরদারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন ছিল সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একীভূত করা, যে স্বপ্ন আমরা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। দক্ষিণ এশিয়ার সংহতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেওয়ায় হাসিনার মতো দৈত্য সৃষ্টি হয়েছিল: আমির খসরু
১ দিন আগে
নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর নেতিবাচক আলোচনার কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে মাথা উঁচু করছে।
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষণীয় হলো- বিভিন্ন নেতিবাচক বক্তব্য ও আলোচনার কারণে ফ্যাসিস্টরা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু গণমাধ্যম এটা প্রচার করছে, যা কোনোভাবেই মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শনিবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট মিলনায়তনে ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
তিনি গণমাধ্যমকে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। ‘এই প্রবণতা রোধে তরুণদের একযোগে কাজ করারও আহ্বান জানান ফখরুল।’
ফখরুল বলেন, জাতির সামনে যে সংকট রয়েছে তা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে ধৈর্য। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন, একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আজ যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যেন জাতি হাতছাড়া না করে। ‘এই সুযোগ হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমি এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে চাই।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ছাত্র-রাজনীতিবিদসহ সব মহল সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, 'গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের সৃষ্ট জঞ্জাল পরিষ্কার করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে এই প্রত্যাশা থেকেই আমরা তাদের এ দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের আকাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
ফখরুল বলেন, আমরা বারবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলছি। কারণ, আমরা বিশ্বাস করেন জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার উদ্যোগ সফল হতে পারে না। ‘এ ধরনের অংশগ্রহণ কেবল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, সংসদকে কার্যকর করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চর্চা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় তরুণরা যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার জন্য রক্তসহ এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা এখন রাজনীতিবিদদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন তিনি।
সাকি আরও বলেন, দেশকে গণতন্ত্রের সঠিক পথে রাখতে এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
১ সপ্তাহ আগে
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে আবারও নতুন বিপদে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বিপদ এখনও কাটেনি। নতুন বিপদ সামনে আসার আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কেউ যেন মাইনাস-২ ফর্মুলার কথা না ভাবে: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আবারও গণতন্ত্রকে দুর্বল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে মহিলা দলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মমভাবে দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলতেন। তার কারণে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়। কিন্তু সেই ভয়ংকর দানবকে সরিয়ে দিয়ে ৫ আগস্ট আমরা মুক্ত হয়েছি। এটা সত্য যে, শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ‘এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে।’
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সমর্থনে জনগণের সেবা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারই সর্বোত্তম সরকার।’
ফখরুল বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কেউ দলকে বিভক্ত করতে পারেনি। ‘বরং বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করে আমরা এগিয়ে যাব এবং নিঃসন্দেহে নির্বাচনে জিতে দেশ পুনর্গঠনে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: যেকোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিপক্ষে বিএনপি: ফখরুল
২ সপ্তাহ আগে
অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
অন্যান্য ইস্যু থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন না হয়।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'অন্য ইস্যুতে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দিন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে তারা (সরকার) এটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে। যদিও আমরা এটিকে বড় ইস্যু মনে করি না। আমরা আশা করি কমিটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
এই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। তারা চায় এটা অব্যাহত থাকুক। আমার অনুরোধ, আপনারা সজাগ থাকুন, যাতে আপনার অবস্থান ক্ষুণ্ন না হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
ফখরুলের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ছাত্রনেতাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল বিকেল সোয়া ৫টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ও প্রধান সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন ও আকতার হোসেন।
৩ সপ্তাহ আগে
গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
ডিএসসিসির ময়লার গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
খালাস পাওয়া অন্য ৬ জন হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।
মির্জা ফখরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষী না আসায় বিচারক আসামিদের খালাস দেন।
শুনানির সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানা এলাকায় মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটান। ঘটনায় ডিএসসিসির গাড়িচালক মো. আয়নাল বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন খান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
১ মাস আগে
ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াংসিক বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকা ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাজভিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বৈঠক শেষে ড. মঈন সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘বাংলাদেশে যে পরিবর্তন এসেছে তা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গত ১৭ বছরে দেশ শুধু দুর্নীতিতে জর্জরিতই হয়নি, ব্যবসা-বাণিজ্যও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনার পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ার উপস্থিতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ‘বরং এর মূল উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানো।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতি উভয় দেশের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধার মধ্যে নিহিত।
তিনি বলেন, ‘এই নীতি অনুসরণ করে আমরা অতীতে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ যদি বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে, তাহলে উভয় পক্ষের সম্প্রীতি বজায় রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে আমরা বাংলাদেশি ও কোরিয়া উভয়ের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেব।’
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
১ মাস আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
২ মাস আগে
জুলাই-আগস্ট বিদ্রোহে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করা যাবে না।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ৮৭৫ জন শহীদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, 'এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটা ছিল বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নিপীড়ন, দমন ও তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বিএনপির দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল। এখানে বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ১৬ বছরের স্বৈর শাসনের অবসান ঘটিয়ে এবং গণতন্ত্রের পথ প্রশস্ত করে বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট আবারও স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য ব্যক্তি ও পরিবার ত্যাগ স্বীকার করে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত 'জুলাই গণহত্যায়' সারা বাংলাদেশে ৮৭৫ জন শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৪২২ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদদের উল্লেখযোগ্য অংশ বিএনপির নেতাকর্মী, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি দলের স্থায়ী রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।
তিনি দাবি করেন, আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করা বিএনপির লক্ষ্য নয়। বরং সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য ছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার সব সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনকে নিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং গণঅভ্যুত্থানে প্রেরণা যুগিয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেছে।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বিএনপির ৬০ লাখ সদস্যকে। তারাই রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঢালের মতো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য জনগণের সংগ্রামে যোগ দেয়।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক নির্বিশেষে বামপন্থী বা ডানপন্থী মতাদর্শের ব্যক্তি যেই হোন না কেন তাদের সবার মূল্য সমান। 'প্রতিটি রক্তবিন্দু সমান সম্মান পাওয়ার যোগ্য।'
সুতরাং হত্যার প্রতিটি ঘটনাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নথিভুক্ত করতে হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি; এটি অবৈধ সরকারের জুলুম, অন্যায়, দুর্নীতি, দুঃশাসন, বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশন স্পষ্ট: ফখরুল
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিশনের কথা তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে যেসব সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন সরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলেও আশাবাদী ফখরুল।
তিনি বলেন, 'এটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। গতকাল (বুধবার) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সংস্কার (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার) নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ করেন।’
ফখরুল বলেন, 'তিনি (ইউনূস) তার ভাষণের মাধ্যমে তার সরকারের ভিশন ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছেন।’
বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। ‘তাই আমরা আশা করছি এসব সংস্কার খুব দ্রুতই সম্পন্ন হবে।’
সরকার দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শাসন ও জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘গণআন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসায় আমরা তাদের সাফল্য কামনা করছি। আমরা আশা করি, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।’
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বারবার আধিপত্যের রাজনীতি করছে ভারত: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই কারণ এটি এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ কারণে আমাদের এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তবে তা করতে হবে জনগণের ইচ্ছানুযায়ী। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটা অনুধাবন করবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, যাতে জনগণ উপকৃত হতে পারে।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
২ মাস আগে