ফখরুল
মাগুরার শিশু ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ফখরুলের
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকারী দানবদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শিশুটির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের পাঠানো এক শোকবার্তায় এই দাবি জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, 'মাগুরায় একটি নিষ্পাপ শিশুকে কয়েকজন দানবের নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হলো।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শরীরের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে সে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সে লজ্জা ও অশ্রুতে ডুবিয়ে গেছেন আমাদের, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
মির্জা ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে এই 'দানবদের' দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
ছোট্ট শিশুটি মাগুরায় বড় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মারা যায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান ওই শিশুটি।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে মাগুরা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং পরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আসামিদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আর নেই
৩৭ দিন আগে
যথাসময়ে নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে ফখরুলের প্রশ্ন
অযথা সময় নষ্ট না করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটিটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে যে ছাত্ররা একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন, এখন নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় তারাই ফ্যাসিস্টদের জায়গা করে দিচ্ছে।’
এ সময়ে সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার তিনি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের ওপর আর থাকবে না।’
আরও পড়ুন: দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
সরকারের এক উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে এ প্রসঙ্গে ফখরুল আরও বলেন, ‘তখন তিনি বলেছিলেন আমি নাকি এক–এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক–এগারোর ভুক্তভোগী। এক–এগারো যারা তৈরি করেছে তারা টিকতে পারেনি মানুষের কাছে। আবারও হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই যদি আবার কেউ সেই এক–এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে সেই একদলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।’
নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখনই দল তৈরি করবেন, স্বাগত জানাব। তার অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে আপনারা আপনাদের দল গঠন করবেন। সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।’
দেশ একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসনে যাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি হয়ে আছে বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গোটা দেশের মানুষ এখন সেটাই চায়, তারা যাতে অতি দ্রুত একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত সাত মাসে সেই জায়গায় যেতে পারিনি। আমরা দেখছি, নতুন সরকার অন্তর্বর্তী সরকার আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছি, তারা চেষ্টা করছেন অতি দ্রুত কিছু কাজ শেষ করে এই নির্বাচনের দিকে যাওয়ার। কিন্তু এরই মধ্যে কতগুলো সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে।’
আরও পড়ুন: সরকারে থাকার খায়েশ থাকলে নির্বাচনে আসুন: উপদেষ্টাদের উদ্দেশে ফখরুল
সেই সন্দেহটা হচ্ছে যে আদৌ নির্বাচন নিয়ে এরা আন্তরিক কি না বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কারণ আছে এই সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার। তার মধ্যে গতকাল স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তারা অংশ নিতে পারবে।’
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছাত্রদলের ইমেজ (ভাবমূর্তি) নষ্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কুয়েটে কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাকে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদল ‘গুপ্ত’ রাজনীতির অবসান চায়। এই রাজনীতি আর চলবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী নামধারী ‘গুপ্ত’ সংগঠনের এক নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
৫৯ দিন আগে
সরকারে থাকার খায়েশ থাকলে নির্বাচনে আসুন: উপদেষ্টাদের উদ্দেশে ফখরুল
সরকারে থাকার খায়েশ থাকলে পদত্যাগ করে নির্বাচনে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে যশোর শহরের টাউনহল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি সরকারে থাকার খায়েশ জাগে, তাহলে পদত্যাগ করুন। এরপর নির্বাচনে আসুন। সরকারের বাইরে গিয়ে নতুন দল করুন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সরকারে থেকে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না।’
‘আগে জাতীয় নির্বাচন দিন, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কোনোভাবেই আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না,’ বলেন তিনি।
নিত্যপণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছিল: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যশোরের নওয়াপাড়ায় বন্ধ হওয়া কলকারখানা চালু ও ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করা হবে।
বিএনপি জনগণের দল আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিএনপিকে ভাঙার বহু চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি। এ কারণে গত ১৭ বছর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে বিএনপি। তার চূড়ান্ত বিজয় ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। বর্তমান সরকার সংস্কারের যে কথা বলছে, বিগত ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া সেই একই কথা বলেছিলেন।’
‘এটি নতুন কোনো বিষয় না। তারপরও ভোটের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। আমরা আশাবাদী, ইউনূস সরকার দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এটি দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি—বলতে পারলে খুব ভালো লাগত, কিন্তু আমরা সবাই ভালো নেই। চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আমরা এখনও নিরাপদ নই। হাসিনার আমলে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও ৭ শতাধিক গুমের শিকার হয়েছেন। যশোর জেলার অন্তত ৮৪ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।’
৬০ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা আসন্ন নির্বাচনে একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি, আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের নীতি ও অনুশীলনে বিশ্বাস করি এবং সেগুলো মেনে চলি। অতীতেও আমরা তাই করেছি।’
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের অনুরোধের বিষয়ে এক সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
তিনি বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, কে কাজ করতে পারবে বা কে পারবে না, তা ঠিক করার দায়িত্ব তাদের নয়। ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কোন দল থাকবে, কোন দল থাকবে না, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে আর কোনটি নির্বাচন করবে না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে বিএনপি সমর্থন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা বড় কথা নয়... এটা জনগণের ব্যাপার, আমাদের নয়।’
এর আগে বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিগত সরকার, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো সহিংস ও পরিকল্পিতভাবে ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় আকারের ধারাবাহিক অভিযানের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন। সেসময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছে।
তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নয়
ফখরুল বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রবর্তনের তীব্র বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা কোনো ধরণের আনুপাতিক নির্বাচনকে সমর্থন করব না। কারণ, দেশের জনগণ এতে অভ্যস্ত নয়। এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাও উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও বিপক্ষে। ‘আমরা এর সঙ্গে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করছি। এটা দেশকে আরও ভঙ্গুর রাজনৈতিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তত তাড়াতাড়ি রাজনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ আরও স্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে জাতীয় নির্বাচন জরুরি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমানে প্রশাসন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। একবার সুশাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হলে— আপনি দেখতে পাবেন যে অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিস্থিতিও উন্নত হবে। ... বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলো এখনো ঠিকমতো চালু হয়নি। সেসব ব্যবস্থা ঠিক করা হবে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে এসব বিষয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে আমরা সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করবে— তা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত।
ফখরুল বলেন, সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে সরকারপ্রধান তাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
৬৫ দিন আগে
ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানিয়েছেন ড. ইউনূস : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে বলে তাদের জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, খুব শিগগিরই তারা নির্বাচন আয়োজন করবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের জন্য তারা কাজ করছেন।’
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠকে বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল আশা করে— সরকার তাদের এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক
রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সরকার ঠিক করবে। ফখরুল বলেন, 'সম্ভবত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে কিছু বলবেন।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রবিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির আরেকটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এস নাছির উদ্দিনসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৬৮ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ফখরুলের বৈঠক
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তারা দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জ্যাকবসনের বাসভবনে বৈঠকটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
পরে শামা ওবায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা তার আমন্ত্রণে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, 'নতুন মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এবং এই বৈঠকটি সেই আলোচনার অংশ ছিল।
বৈঠকে শামা বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করেছেন।’
আরও পড়ুন: ৩১ দফা বাস্তবায়নেই হবে জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ: তারেক রহমান
৭৯ দিন আগে
সবসময় কেন নির্বাচনের কথা বলেন, জানালেন ফখরুল
প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ফের দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি, কেন তিনিসহ বিএনপি নেতারা সব সময় নির্বাচনের কথা বলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই রাজনীতিক।
মির্জা ফখরুলের মতে, বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মবিশ্বাস কম। তাই নির্বাচিত সরকার দরকার। কারণ, তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে, তাদের আত্মবিশ্বাস থাকবে। ফলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান সহজ হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত ‘গ্রন্থ আড্ডা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাকে অনেকে ভুল বোঝে যে, আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন! বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেই।’
‘নির্বাচন তাড়াতাড়ি করার কথা এ জন্যই বলি যে নির্বাচন হয়ে গেলে সমস্যাগুলো চলে যাবে। একটা নির্বাচিত সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে, তাদের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাসটা থাকবে। এখন ওদের (অন্তর্বর্তী সরকার) মধ্যে তো সেই কনফিডেন্সটা নাই। জনগণের ভাষাটা তো বুঝতে হবে!’
আরও পড়ুন: সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল
দ্রুত নির্বাচন চাইলেও এখনই তা চান—বিষয়টি এমন নয় বলেও জানান তিনি, ‘এখনই করে ফেলতে হবে তা বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা প্রয়োজন, সেটা করে নির্বাচন করলে সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না, আমার বিশ্বাস ভুল কি না—যেকোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু একটা অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি—এখন সেই অবস্থাটা নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ একটা ভালো কিছু করার সম্ভাবনা, সুযোগ তৈরি হয়েছে। সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা শিগগির সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব।’
‘এখনই নির্বাচন চাচ্ছি না, ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। আমরা সব সময় নির্বাচনের কথা বলি, কারণ অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।’
বিরাজমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সব পাল্টে দেব, এই মুহূর্তে সব দখল করব—এটা হয় না। আমাদের ধাপে ধাপে যেতে হবে। আমাদের এখানে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, এই অস্থিরতাকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই, আমাদের ধৈর্য ধরে পা ফেলতে হবে।’
‘এমন কিছু আমরা করব না যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়, কোনো বিপদ আমরা যেন না ডেকে আনি—এই বিষয়গুলো আমাদের মনে রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘একটা কথাই শুধু বলতে চাই, কখনও ধৈর্য হারাবেন না, আশা হারাবেন না। আমাদের প্রত্যাশা অনেক, কিন্তু ধৈর্য একেবারেই কম। এই তো মাত্র কয়েক মাস হয়েছে। এর মধ্যেই অনেকে পাগল হয়ে গেছে।’
‘এ সরকার অনেক ভুলত্রুটি করছে। ভুল তো করবেই। তারা তো আর সরকারে ছিল না। তারা তো রাজনীতি করেনি, রাজনীতি বোঝেও না। তাদের তো সেই সময়টুকু দিতে হবে!’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে তো কেউ একটা কথা বলারও সুযোগ পায়নি, সাহসও কেউ পায়নি। আর এখন যেহেতু একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাতে লাভটা কার? এটাতে এই দেশের, এই সমাজের, এই মানুষের কোনো লাভ হবে না।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগাররের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দিপ্তীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, পলিসি গবেষক মাহাদী আমিন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী আফরোজা খানম রীতা, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।
৮৮ দিন আগে
সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: ফখরুল
সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই এবং দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে বলে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কারও চলবে, নির্বাচন হবে এবং যে সরকার আসবে, তারা সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে বলতে পারি, প্রতিটি সংস্কারকে (যদি সরকার গঠন করি) এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এ সময় চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ পুরো রিপোর্ট এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। সরকার যেটা বলেছে এবং পরিকল্পনা করেছে—এই রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে, তার পরেই সিদ্ধান্ত হবে। ঐকমত্য ছাড়া কোনোকিছুই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের মনোনয়ন না দিতে সতর্ক থাকবে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে আমরা সব মানুষের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য কামনা করি এবং আশা করি যে আমরা শিগগিরই একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে আসতে পারব, একটি সঠিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
এর আগে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুল।
এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, ডা. রফিকুল আলম মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
৯০ দিন আগে
জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশকে রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্য অপরিহার্য হলেও একটি মহল জাতিকে বিভক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, 'আমি সবাইকে বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য।’
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে 'রাজবন্দীর জবানবন্দি' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
বইটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার 'মিথ্যা' মামলায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দী সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু এসব সংস্কারের পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার থাকতে হবে। ‘এটি ছাড়া আমরা কখনোই সংস্কারকে বৈধতা দিতে পারব না। আমি এখন এ নিয়ে বিতর্কে জড়াতে চাই না।’
আরও পড়ুন: ৭ বছর পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন
তিনি বলেন, 'আমি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিভক্ত হবেন না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, কিছু মানুষ দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিকে বিভক্ত করার উদ্দেশে কিছু লোক উসকানিমূলক বক্তব্যও দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে এবং দেশে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন খালেদা জিয়া
১০০ দিন আগে
অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিৎ নয়: ফখরুল
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বাংলাদেশের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা। নির্বাচিত সরকার থাকলে এসব সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।’
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশ এ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট থাকায় একটি নির্বাচিত সরকার কার্যকরভাবে সমস্যা মোকাবিলায় তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। ‘এটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। আমরাও সংস্কারের পক্ষে। তবে আমরাও মনে করি, অনির্বাচিত সরকারের বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাই হয়নি: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আশ্বস্ত করে বলেন, তার দল এখনো অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যের আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করে এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন বিএনিপির এই নেতা।
ফখরুল বলেন, তারাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল করতে চান এবং এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় অনুরোধ দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করার। অন্যথায় চলমান সংকট, সমস্যা, নাশকতা, সীমান্ত ইস্যু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়, বরং একটি চলমান প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছেন, তারা কাজ করছে, ভাল। কিন্তু এসব কমিশন কাদের সঙ্গে কাজ করছে? তারা কিছু পন্ডিতকে নিয়ে এসেছেন... আমরা তাদের ভালো করে চিনি এবং সম্মান করি। তবে একই সঙ্গে জনগণ কী চায় তা বোঝার জন্য তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
১১২ দিন আগে