এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ আজীবন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে দেশ ও জাতির সেবা করে গেছেন।
‘১৯৮১ সালে ৬ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসার পর থেকে আমি শামসুর রহমান শরীফকে দেখেছি তিনি বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগের ঝান্ডা উড্ডীন রেখেছেন। সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এজন্য তাকে ও তার পবিারের সদস্যদের অমানুষিক নির্যাতন, জুলুমের স্বীকার হতে হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে, আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি,’ স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘তৃণমূলের নেতা হিসেবে শামসুর রহমান শরীফ সবসময় এলাকার সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা। শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে দেশ ও জাতি এক মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদকে হারালো আর এলাকাবাসী হারালো তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।