রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধবিহারের জ্ঞাতি সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
নিজগ্রাম সুখবিলাসের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপনে সবাই অংশ নিয়েছে। গ্রামে আমরা সকল ধর্মের মানুষ মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসাথে ভাই-ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু আমাদের গ্রামে এ সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরও বেশি। এখানে কখনো কোন ভেদাভেদ ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবে না।'
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সবাই মিলে ফানুস উড়ান, সবাই সেই উৎসবে শামিল হন। আবার ঈদ উৎসবেও মুসলমানদের বাড়িতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই যান। এটাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত 'জ্ঞাতি সমাবেশে' সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবির। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, ঊর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথেরো, বাটাপাহাড় সার্বজনীন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থেরো, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে সবার সাথে ফানুস উড়ানোতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।