রবিবার দুপুর ২টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশটি শুরু হয়।
এতে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাদের বিভিন্ন দাবি ও ভবিষ্যত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন দলের নেতারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাকে সমাবেশের প্রধান অতিথি করা হয়েছে। মঞ্চে তার জন্য একটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম সমাবেশে সাত-দফা দাবি এবং দলের ১২ অথবা ১৩ দফা ভিশন উপস্থাপন করতে পারেন।
বিএনপির দাবির মধ্যে রয়েছে- দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়া, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করে ও সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বাতিল করা।
এছাড়া দলের ১২ দফা ভিশনের মধ্যে থাকবে- দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নতিতে দলের গঠন কী হবে, প্রতিশোধের রাজনীতি থেকে মুক্তি, সুশাসন ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, ভারতসহ অন্যান্য দেশের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করার অনুমতি না দেয়া।
রবিবার সকাল থেকে দলের শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।
সমাবেশস্থলে ও এর আশপাশে বিপুল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের বেধে দেয়া শর্ত অনুযায়ী, বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে বিএনপিকে।
গত শনিবার, ২২টি শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।