তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি আবারো নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ছল চাতুরি হয় তাহলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে, গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য নির্বাসিত হবে। সুতরাং, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবশ্যই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশের অন্যতম পুরনো রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগের নবম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তফ্রন্ট প্রধান আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তিকে অবশ্যই জেগে উঠতে এবং তাদের বলতে হবে যে আমরা কোনো ছল চাতুরির নির্বাচন মানব না। জনগণের ভোটের অধিকার ফেরানো আমাদের সংগ্রামের এক নম্বর পয়েন্ট হতে হবে।’
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল, যেখানে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন।
৫ জানুয়ারির পর অবিলম্বের একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বি চৌধুরী বলেন, তিনি বলেছিলেন- এটা ছিল মাত্র নিয়ম রক্ষার নির্বাচন এবং তারা শিগগিরই সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করবে। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি জনগণের ভোটের অধিকার ফেরাতে মুসলিম লীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
মুসলিম লীগের জাতীয় কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা দলের সভাপতি এবং কাজী আবুল খায়ের মহাসচিব নির্বাচিত হন।