তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও বিরোধী মত ধারণকারীদের বিরুদ্ধে সরকার দেশব্যাপী হাজার হাজার ভৌতিক মামলা দায়ের করছে। আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কোনো সুযোগ পাব কিনা তা নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন।’
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি এসব মামলা অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুরো নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে।’
ফখরুল দাবি করেন, গত ১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের তিন লাখ ১৩ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিন হাজার ৭৩৬টি ‘ভৌতিক’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় দুই লাখ ৩৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে একই সময়ে তিন হাজার ৬৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার অভিযোগ, মানুষ যাতে ভোট না দিতে পারে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে জন্য সরকার এসব মামলা দায়ের করছে।
বিএনপির এ নেতা সরকারকে দমন নিপীড়নের পথ পরিহার করে সোজা গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের উপায় খোঁজে বের করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
তা না হলে জনগণ ক্ষমতাসীন দলটিকে ক্ষমা করবে না জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জনগণের অধিকার হরণ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করায় তারা অবশ্যই একদিন আপনাদের বিচার করবে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপির এ নেতা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।