তারা সরকারকে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার এবং শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা যথাযথভাবে মূল্যায়নের জন্য স্বল্প পরিসরে পরীক্ষা দেয়ার মতো কার্যকর পদ্ধতি বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘করোনাকালীন পরীক্ষায় অটো পাস: শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একজন চিকিৎসক বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অন্যদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে শিক্ষার্থীদের অটো পাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘অটো পাস ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট করতে এবং শিক্ষার্থীদের ভারতের মতো অন্যান্য দেশে মানসম্মত শিক্ষার জন্য যেতে বাধ্য করার পেছনে এটি একটি কারণ হতে পারে। ‘আমাদের লাখ লাখ শিক্ষার্থী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে পড়াশোনার জন্য যাচ্ছে। অযাচিত তারা ভারতের প্রতি এক রকম ভালোবাসা ধরে রেখেছে।’
বিশ্ব ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ১২৮ মিলিয়ন ডলার নিয়েছে, তাদের পাঁচ লাখ নাগরিক আমাদের এখানে কর্মরত। শিক্ষায় অটো পাস করলে এমন অবস্থা আরও তৈরি হবে, প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে জাতি।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার চালু করছে না। ‘যেখানে সবকিছু খোলা তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার পেছনে কারণ কী? অবশ্যই আজ বা কাল এগুলো আবার খুলতে হবে এবং তখন আপনি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নেমে প্রতিহত করতে পারবেন না।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন বলেন, অটো পাস মেনে নেয়া যাবে না কারণ এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।