মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিচার ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ: প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
যৌন হয়রানি, লিঙ্গ ভেদে সেকেলে ধারণা, নারীদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাব, ডে কেয়ার সেন্টারের অভাব, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের অভাবসহ বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে ব্লাস্টের এ গবেষণায়।
আয়োজকরা বলছেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত দেশের ঢাকা, খুলনা এবং কুষ্টিয়ায় গবেষণা পরিচালনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আদালতের পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের যৌন হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে নারীদের পিছু নেয়া, টিজিংসহ অন্যান্য অপব্যবহারের শিকার হতে দেখা গেছে।
২০০৯ সালে কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানির ব্যাপারে একটি গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু দেশের আদালত প্রাঙ্গণেই নারীবান্ধব পরিবেশ বাস্তবায়িত হয়নি।
এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে এমন কোনো অভিযোগ বক্স নেই যেখানে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নারীরা অভিযোগ জানাতে পারেন। যার ফলে আদালতের পেশাদার নারীরা এ ধরনের অপরাধের জন্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পাশাপাশি আদালত প্রাঙ্গণে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক শৌচাগার, কমন রুম বা অপেক্ষমান স্থান পাওয়া যায়নি।
গবেষণায় আরো বলা হয়, আদালতের পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রেও ক্লায়েন্টসহ অন্যান্যরা সেকেলে ধারণা পোষণ করে। তারা মনে করে যে, অনেক জটিল মামলা নারী আইনজীবীরা সমাধানে ব্যর্থ হবে।
নারী আইনজীবীরা ক্লাইন্টদের থেকে সম্মানী পাওয়ার ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হন এবং পরিবার থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা পান না।
সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মনবাধিকার ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ফন্তিনা পেরেরো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচার বিভাগীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়া ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান ড. জহুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।