মাদ্রাসাছাত্র ইয়াছিন মিয়ার (২১) শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া আঙ্গুলের সফল প্রতিস্থাপন করেছেন ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
ইয়াছিন বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের ধরারাই গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে ও ওসমানীনগরের দয়ামীর হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনার জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইয়াছিনের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পরই তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার কর্তিত বৃদ্ধাঙ্গুলী রাখা হয় হাসপাতালে ফ্রিজে। হাসপাতালে ভর্তির পর বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ডিপার্টমেন্টের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একটানা প্রায় আট ঘণ্টা এ অস্ত্রোপচার চলে। এসময় চিকিৎসকেরা ইয়াছিনের বৃদ্ধাঙ্গুলীটি পুনরায় তার হাতে স্থাপন করতে সক্ষম হন।
সহকারী অধ্যাপক প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নানের সাথে অপারেশনে সহযোগিতা করেন ডাঃ নাহিদ, ডাঃ জহিরুল ইসলাম, ডাঃ সাজিদ, ডাঃ সজীব, ডাঃ সাদিয়া, ডাঃ আবিদ। এ্যানেস্থেসিস্ট ছিলেন ডাঃ রিয়াদ ও ডাঃ নিজাম।
ওসমানী হাসপাতালের বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ডিপার্টমেন্টের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবদুল মান্নান বলেন, অপারেশনের পর ওই দিন রাত ৩টায় ইয়াছিনের আঙ্গুলের কর্মক্ষমতা পুরোপুরি ফিরে আসে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কর্তিত অঙ্গ নিয়ে সংশ্লিষ্ট রোগী যদি ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়, তবে তা পুনঃসংযোজন সম্ভব।
ডা. মো. আবদুল মান্নান জানান, এ ধরনের চিকিৎসার জন্য এখন আর ঢাকা কিংবা বিদেশে যাবার প্রয়োজন নেই। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। ঢাকার বাইরে সিলেটে প্রথম এ অঙ্গ পুনঃসংযোজন হয়েছে বলেও দাবি করেন এ চিকিৎসক।