বিশ্বের ১৩০টি দেশের জরিপ চালিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর এমন বিধ্বংসী প্রভাব পাওয়া গেছে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জোরদারে তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তাকে নির্দেশ করে।
মানসিক স্বাস্থ্য সেবার ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ এমন সময়ে প্রকাশ করা হলো যেখানে কয়েকদিন পরে (১০ অক্টোবর) এ ব্যাপারে বড় একটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।অনলাইন অনুষ্ঠিতব্য এ ইভেন্টে বিশ্ব নেতৃবৃদ্ধ, সেলিব্রেটি ও বিশেষজ্ঞরা করোনা পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানাতে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির আগে বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তখন দেখা গিয়েছিল, বেশিরভাগ দেশে মোট স্বাস্থ্য বাজেটের ২ শতাংশেরও কম বরাদ্দ থাকে মানসিক স্বাস্থ্যে, যা দিয়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়।
কিন্তু বর্তমান মহামারিতে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা বাড়ছে। শোক, বিচ্ছিন্নতা, আয় হ্রাস এবং ভয় মানসিক স্বাস্থ্যের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে।
অনেকের হয়তো অ্যালকোহল এবং মাদকের ব্যবহার বেড়েছে, বেড়েছে অনিদ্রা এবং উদ্বেগ। আবার, কোভিড-১৯ নিজেই স্নায়ুবিক এবং মানসিক জটিলতা, যেমন প্রলাপ, ও স্ট্রোকের কারণ।
যারা পূর্বে থেকেই বিভিন্ন কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে তাদের অবস্থা আরও গুরুতর করে তুলেছে।
গত জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বের ছয়টি অঞ্চরের ১৩০টি দেশে জরিপ চালিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সাম্প্রতিক জরিপটি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।