করোনার এ সময়ে বাড়িতে বন্দি হয়ে প্রত্যেকেই আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরছেন মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ। মানসিক অবসাদ কাটাতে অনলাইন চ্যাট, গেমস বা ওয়েব সিরিজ়ের মধ্যে নিজেদের অবসর খুঁজে পেতে চাইছেন। বেশিরভাগ সময়ই হয়তো কানে থাকছে ইয়ারফোন বা হেডফোন।
ভার্চুয়াল বৈঠক, ওয়েবিনারের ফলে কানে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। ছোটদের ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসও বড় রকমের ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস।
করোনা আতংকে অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এই অবহেলার কারণেও কানের সমস্যা আরও বাড়ছে। কানে ছত্রাকের সংক্রমণ বর্ষার ম্যৌসুমে একটু বাড়তে পারে, এছাড়া এখন হেডফোনের ব্যবহারও বেড়েছে; তাই কোনো ছোটখাটো সমস্যা মনে হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ সুচির মৈত্র।
তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা লাগলে নাকের সর্দিটা কানের দিকে চলে গিয়ে সংক্রমণ ঘটায়। বয়স্ক থেকে শিশু সকলেরই কানের সংক্রমণ হতে পারে। আবার কানের সাথে মস্তিষ্কের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এছাড়া সাইনাসের সমস্যা, অ্যালার্জি, মিউকাস জমে যাওয়া, এগুলো থেকেও কানে সংক্রমণ হতে পারে। সংক্রমণ হতে পারে হেডফোন থেকেও।’
বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘কানের সমস্যা হলে অনেকে বাড দিয়ে খোঁচাখুঁচি করেন যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কোনো সংক্রমণ থাকলে ইয়ারড্রাম পারফোরেশন অর্থাৎ কানের পর্দা ফেটে ফুটো হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্রবণশক্তি হারাতে হতে পারে। কানের সমস্যা থেকে জটিলতা বেড়ে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে।’
তাই কানে কিছু অস্বস্তি হচ্ছে মনে হলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।