ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) দেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
রবিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) প্রথম ধাপের এই ট্রায়াল হবে।
বিএসএমএমইউ-এর হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব এই ট্রায়ালের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
অনুমোদন দিয়ে ডা. মামুনকে পাঠানো ডিজিডিএ এর দেয়া চিঠি অনুসারে, গবেষণা প্রটোকলটি ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদনের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য অনুমোদিত হবে।
বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের পরে এমআরএনএ ভ্যাকসিন সক্ষমতা নিয়ে বিশ্বের নয়টি দেশের অভিজাত গ্রুপে যোগ দিলো।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড দাবি করেছে, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সহ কোভিড-১৯ এর ১১টি রূপের সঙ্গে লড়াই করার জন্য বঙ্গভ্যাক্স ১০০ শতাংশ কার্যকর।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি গ্লোব বায়োটেক, একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি যেটি করোনা টিকা তৈরির চেষ্টা করছে, বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার জন্য অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কাছে একটি আবেদন জমা দেয়।
২৩ নভেম্বর বিএমআরসি বঙ্গভ্যাক্সকে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়।
গ্লোব বায়োটেক ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর টিকা তৈরির লাইসেন্স পায়।
বিএমআরসি, যারা এই ধরনের সমস্ত ট্রায়ালের তত্ত্বাবধান করে, গত বছরের জুনে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পাওয়ার আগে এ শর্তগুলো পূরণ করতে হয়।
মূল শর্ত ছিল গ্লোব বায়োটেককে প্রথমে বানর বা শিম্পাঞ্জির ওপর ট্রায়াল চালাতে হবে।
সেই সময়ে সংস্থাটির চিহ্নিত বাধাগুলির মধ্যে একটি ছিল যে দেশে কোনও তৃতীয় পক্ষের ক্লিনিক্যাল গবেষণা সংস্থা (সিআরও) ছিল না যা প্রাণীর ওপর এই জাতীয় পরীক্ষা পরিচালনা করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন