সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৮ সাল থেকে পরশ প্রতিবন্ধী স্কুল নামে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নিবন্ধনভুক্ত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নিবন্ধনভুক্ত হলেও, ২০০২ সাল থেকে সমাজ উদ্যোক্তা প্রয়াত মির্জা ফাতেমা আহমেদ সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার কারণে এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এসব শিশুরা শিক্ষার আলো পেয়েছে।
তাই এসব বিশেষ শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
এদিকে সমাজের অবহেলিত এসব শিশুদের পড়াতে পেরে ভালো লাগার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে পরশ প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি জহির হোসেন জানান, বর্তমানে স্কুলটিতে ৯৫ জন শিক্ষার্থী, পাঁচজন শিক্ষক ও একজন সেবাকর্মী রয়েছেন। বিদ্যালয়টির কারণে এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শিক্ষার আলো পেয়েছে। মূলত পরিচালনা পর্ষদের বিত্তবান সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতায় চলে স্কুলটি।
বিদ্যালয়টির বেশির ভাগ শিশু বিনামূল্যে কিংবা নামমাত্র বেতন দিয়ে এখানে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এসব বিশেষ শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।