‘চলো হারাই শৈশবে’এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘ফরিদপুর সিটি’ নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপের আয়োজনে উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে ওঠেন ঘুড়ি প্রেমীরা। এ সময় আকাশে বাহারি রঙয়ের বিভিন্ন আকারের শতাধিক ঘুড়ি ওড়ানো হয়। ফরিদপুর শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক দর্শনার্থীর পদভারে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হয়।
অতুল সরকার বলেন, ‘এ জাতীয় আয়োজনকে আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার দরকার। যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের উৎসবে বিকল্প নেই।’
ফরিদপুর সিটি পেজের মডারেটর বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ২০১২ সালে ফরিদপুর সিটি পেজ যাত্রা শুরু করে। গ্রুপটি গত তিন বছর ধরে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে আসছে। এবার ছিল তৃতীয় ঘুড়ি উৎসব।
এবারের উৎসবে শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। উল্লেখযোগ্য আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা, মাছ, ঈগল, লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি।
ঘুড়ি উৎসবে আসা শিক্ষার্থী রেজাউল করিম বলেন, এটি অবশ্যই ফরিদপুরের একটি অন্যরকম আয়োজন, এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সব বয়সী মানুষ এক হয়ে একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
উৎসবে ঘুড়ি নিয়ে আসা সালমান বলেন, আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে, একদিনের জন্য হলেও আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
উৎসবের অন্যতম আয়োজক ‘ফরিদপুর সিটি’ ফেসবুক পেইজের এসএম ইশতিয়াক বলেন, আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবগুলো পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।
উৎসবে অংশ নেয়া শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ঘুড়ির আকর্ষণীয় উপস্থাপন এবং ঘুড়ি ওড়ানোর দক্ষতার ভিত্তিতে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।