ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ফিলিপিনো জাতীয় বীর ডা. হোসে রিজালের যৌথ কাঠের প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি শিল্পকর্ম উন্মোচন করার মাধ্যমে প্রদর্শনীটি শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফিলিপিনো শিল্পী নিকোলাস পি আকা জুনিয়রের খোদাই করা এই শিল্পকর্মটি ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কালাম্বার শহরে অবস্থিত রিজাল জাদুঘরে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
সকালে রিজাল জাদুঘরে উক্ত শিল্পকর্মটি উদ্বোধন করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং হোসে রিজাল জাদুঘরের কিউরেটর যারাহ এসকুয়েতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সিয়াম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসে রিজাল বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মহান দুই নেতা যারা ইতিহাসের সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে নিজ দেশের জনগনকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
খোদাই কর্মটিতে এই মহান দুই নেতার পোট্রেটের পাশাপাশি লাল রঙের আবহ মানুষ ও জনগণের জন্য এই দুই নেতার আত্মোৎসর্গকে প্রতিফলিত করে বলে শিল্পী নিকোলাস জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণ করবার পর হোসে রিজাল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনের মধ্যে তিনি সাদৃশ্য খুঁজে পান যা তাকে এই শিল্পকর্মটি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে শিল্পকর্মের পাশাপাশি জাতির পিতার আত্মজীবনী, তার ওপর রচিত বিখ্যাত কিছু বই, ঐতিহাসিক ছবি সহ অন্যান্য চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী শেষে শিল্পকর্মটি দূতাবাসের উপহার হিসাবে জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা এবং অবশ্যপালনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কালাম্বা সিটি কাউন্সিল, ফিলিপাইন জাতীয় ইতিহাস কমিশন, ফিলিপাইন তথ্য সংস্থা, ফিলিপাইন পর্যটন ও ক্রীড়া উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।