শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের মতো বিওয়াইএলসি অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ সকল কথা বলেন তিনি।
নিজেদের মেধা ও নেতৃত্ব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন খাতে সাফল্য অর্জনকারী ছয়জন উদীয়মান তরুণকে এ বছর এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে বিওয়াইএলসি দেশের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং তাদেরকে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আমি চাইবো সামনের দিনগুলোতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিওয়াইএলসি দেশের তরুণদের জন্য আরও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একসাথে কাজ করবে।
বিওয়াইএলসির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট ইজাজ আহমেদ বলেন, এই অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অসামান্য অর্জনকে স্বীকৃতি প্রদান এবং তরুণদের নেতৃত্ব শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে চেয়েছি। আমি আশা করবো এই স্বীকৃতি তাদেরকে নিজেদের এবং দেশের জন্য ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
বিওয়াইএলসি অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এর বিজয়ীরা হচ্ছেন- শিক্ষা ক্যাটাগরিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক বিজয়ী মোহাম্মাদ নকিব, পেশাগত দক্ষতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট সুমাইয়া আফরিন, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে চিত্রনির্মাতা সাদিয়া তাবাসসুম এবং আলোকচিত্রশিল্পী কাজী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সামাজিক উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে ক্যাম্পেইন রেড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা রুবিনা আক্তার এবং উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবু সাইয়েদ আল সাগর।
২০০৮ সালে হার্ভার্ড এবং এমআইটিতে বিওয়াইএলসির মূল ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বিভিন্ন নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি এ পর্যন্ত ১৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৩৫০০র ও বেশি শিক্ষার্থীকে নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান, দলগত কাজ এবং যোগাযোগ দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। বিওয়াইএলসি অ্যালামনাইদের একটা বড় অংশ বর্তমানে নেতৃত্ব চর্চার মাধ্যমে দেশের সরকারি, বেসরকারি এবং অলাভজনক খাতে উন্নয়নে অবদান রাখছেন।