পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও শেরপুর শহরের নবীনগর ছাওয়াল পীরের দরগা সংলগ্ন খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নবীনগর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মেলায় সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল।
পৌষমেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ‘গাঙ্গি’ খেলা (কুস্তি) ছাড়াও ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কারর বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. নজরুল ইসলাম।
শেরপুরের এ পৌষ মেলার প্রধান আকর্ষণ ‘গাঙ্গী খেলা’। বড়-মাঝারি-ছোট এ তিনটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয় গাঙ্গী খেলা। মেলায় বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকানেও ছিল ব্যাপক ভিড়। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে পৌষমেলা হয়ে উঠেছিলো জমজমাট ও প্রাণবন্ত।
রাতে এ উপলক্ষে দরগাহ প্রান্তরে আয়োজন করা হবে বাউল গানের আসর।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও পৌষ মেলা আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী শেখ মমতাজ জানান, স্থানীয় নবীনগর এলাকাবাসী প্রায় ২০০ বছর যাবত এ মেলার আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর বাংলা পৌষ মাসের শেষদিন (পঞ্জিকা মতে) ছাওয়াল পীরের দরগাহ সংলগ্ন মাঠে এ পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য বজায় রেখে এবছরও পৌষমেলার আয়োজন করেছি। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হয়।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি একেবারেই নেই’
কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'