গত ২৯ জুলাই ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাজিব আহমেদের চাচাতো শালি আাশা আক্তার তার ১৪ মাসের শিশুপুত্র আরাফাতকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। এরপর মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে রাজিবের কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় রাজিব কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানায়, অপহরণ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে রাজিব তার চাচাতো শালি আশা আক্তারের কাছে আরাফাতকে তার মা মারা যাওয়ার পর পালক দেয়। পরে আশা ও রাজিব পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। গত পাঁচ মাস ধরে তাদের মধ্যে এ সম্পর্ক চলছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আশা শিশু আরাফাতকে তার পথের কাটা মনে করতো। আর সে কারণে আরাফাতকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মান্দাইল খালের ঘাট এলাকায় পলাশ ভিলার তৃতীয় তলার আশার মায়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে ২৯ জুলাই রাতে আরাফাতকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, শনিবার রাজিবের দায়ের করা অপহরণ মামলায় পুলিশ আশাকে গ্রেপ্তার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আশা একপর্যায়ে আরাফাতকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
রবিবার আশাকে আদালতে পাঠানো হলে আশা ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে শিশু আরাফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে আশা বলেন, রাজিবকে বিয়ে করতে তার ছেলে আরাফাত ছিল পথের কাটা। তাই অপহরণের নাটক সাজিয়ে আরাফাতকে হত্যা করেন তিনি, যোগ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।