শুক্রবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, জনসমাগমের এলাকাগুলো একেবারে নির্জন হয়ে পড়েছে। সব রাস্তাই লোকশূন্য। তবে দু-একটি রিকশা মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে। বন্ধ রয়েছে সব দোকানপাট।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ঠাকুরগাঁওয়ে জোরদার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। ইতোমধ্যে জেলা জুড়ে ২৫০ সেনাসদস্যের কয়েকটি দল কাজ শুরু করেছে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি একসাথে একাধিক ব্যক্তির চলাচল বন্ধ ও বাজার মনিটরিংসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় তদারকি করছেন সেনাসদস্যরা।
শহরের মূলকেন্দ্র চৌরাস্তা মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক আমেনালের সাথে। তিনি বলেন, ‘রিকশা না চালালে কীভাবে চলব, খাবার পাব কীভাবে? আমরা দিন আনি দিন খাই। আজ রাস্তায় লোকজন নেই, তাই আয়ও নেই। কীভাবে সংসার চলবে আল্লাহই জানে!’
আরেক রিকশাচালক সবুর বলেন, ‘শুনেছি করোনাভাইরাসের কথা। কিন্তু ঘরে থাকলে কে খাওয়াবে আমাদের? কীভাবে দিন পার করব? আজকে রাস্তায় লোক নেই। কয়দিন এ রকম থাকবে জানি না। হয় ভাইরাসে মরব না হয় না খেয়ে, কী আর করার।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাদের বলেছি অসহায় মানুষদের তালিকা করতে। প্রয়োজন হলে আমরা তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করব। সেই সাথে সমাজের বিত্তবান যারা আছেন তাদেরও দরিদ্রদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’