বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৩ জন রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) অগ্নিকাণ্ডের পর মেডিসিন ভবনের রোগীদের হাসপাতালের পুরনো ভবনে স্থানান্তর করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কিন্তু পুরনো ভবনে আগে থেকেই অনেক রোগীর চাপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকট ছিল। নতুন রোগী আসায় আরও বিপাকে পড়েছে ওই ভবনের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা।
নতুন করে আসা আগুনে পোড়া ভবনের রোগীরা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধ্য হয়ে নতুন রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে আগুন
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তৃতীয় তলায় কিছু রোগীকে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। আগুনের ঘটনায় রবিবারই ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
রোগীর স্বজন আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আগুন লাগার পর আতঙ্কিত হয়ে রোগীকে এখানে নিয়ে এসেছি। ঠেলাঠেলি করে রোগীকে পুরনো ভবনে আনা হয়েছে। এখানেও কোনো শয্যা পাইনি। রোগীকে ফ্লোরে শুইয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে অসুস্থ রোগী আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুরনো ভবনে কিছু মেডিসিন রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শয্যা দিতে পেরেছি, কেউ কেউ ফ্লোরেও ছিল। সোমবার দুপুর পর্যন্ত নতুন রোগীদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। সোমবার দুপুরের পর থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মেডিসিন ভবনে নতুন রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। তিন তলায় রোগীদের শয্যা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার মেডিসিন ভবনের চতুর্থ তলায়ও রোগীদের শয্যা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, আগুনে নিচতলার একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিচতলা বাদে সব তলায় রোগীদের সেবা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।