আগুন
আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার পাইপে আগুন
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটি’র ড্রেজিং মেশিনের পাইপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিআইডব্লিউটি’র ড্রেজিং অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শ্যামপুরের ডায়িং কারখানায় আগুন
বিআইডব্লিউটি’র ওয়াচম্যান তোতা মিয়া বলেন, লোকজনের চিৎকারে অফিস থেকে বের হয়ে পাইপে আগুন লেগেছে দেখতে পাই। এই পাইপগুলো ড্রেজিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য অফিসের সামনে স্তুপ করে রাখা ছিল। এ সময় ২০ থেকে ২৫টি পাইপে আগুন লাগে।
আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আগুনের সূত্রপাতের বিষযয়ে এখনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না।’আরও পড়ুন: কল্যাণপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৩ দিন আগে
তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরিতে আগুন
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা মিথানলের একটি ট্যাংকলরিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তবে এ সময় লরিতে মিথানল না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর ও এর আশপাশের এলাকা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বীজের গোডাউনে আগুন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভারতীয় ট্যাংকলরি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ১২ কিলোমিটার দূর থেকে আসতে বিলম্ব হবে ভেবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দরের আরেকটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ি তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরিতে কেমিক্যালগুলো স্থানান্তর করা হয়।
১ সপ্তাহ আগে
জয়পুরহাটে বীজের গোডাউনে আগুন
জয়পুরহাটে একটি বীজের গোডাউনে আগুনে বিভিন্ন ফসলের বীজসহ মালামাল পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার মুসলিম নগর এলাকায় বেলাল শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর গোডাউনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে টনসিল অপারেশনে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে আমাদের দুইটি ইউনিটের দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এরপর প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই গোডাউনের একটি দরজা ছাড়া প্রবেশের আর কোনো পথ ছিল না। তাই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিভে গেলেও ভেতরে তুষ জাতীয় বিভিন্ন ফসলের বীজ, ভুট্টা, কার্টুন, পলিথিন ইত্যাদি পোড়ার কারণে প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।’
শরিফুল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনও নিরূপণ হয়নি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
১ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে সিএনজি পাম্পে আগুন: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে সিএনজি পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে দুইজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রহমতপুরে বাইপাস সড়ক এলাকায় আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু
নিহত হিমেল (৩০) সিটি কর্পোরেশন এলাকার কিছমত গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট, পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন চালক দগ্ধ হয়ে গাড়ির ভেতরেই মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় আজাহার সিএনজি ও পেট্রোলিয়াম কনভারসন সেন্টারে সিএনজি পাম্পে এলপিজি গ্যাসবাহী গাড়ি থেকে গ্যাস নামানোর সময় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি এলপিজি গ্যাসের লাইনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন পাম্প ও আশেপাশের এলাকা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, আজহার ফিলিং স্টেশন ও ইন্ট্রাকো সিএনজি গ্যাস পাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গ্যাসবাহী গাড়ি থেকে গ্যাস নামানোর সময় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি এলপিজি গ্যাসের লাইনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন পাম্প ও আশেপাশের এলাকা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ঢাকার শ্যামপুরে বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ
১ সপ্তাহ আগে
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা ও লাঠি হাতে একদল ব্যক্তি মূল ফটক দিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং এরপর ভবনের সামনের অংশ ও ভেতরের কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের কাছে ফোন আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে: জিএম কাদের
২ সপ্তাহ আগে
নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চুরি ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা গেলেও অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
গ্রেপ্তারা হলো- মাদারগঞ্জ বাজারের এলাকার আরিফ হোসেন ও একই ইউনিয়নের গাবতলা ডাক্তার পাড়ার বাবু মিয়া।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে দুই যুবক বল্লভের খাষ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে একটি পানির পাম্প চুরি করেন। সেই সঙ্গে অফিসের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে রেজিস্ট্রার-২ বই ১২টি, রেজিস্ট্রার-১২ বই একটি, বেশকিছু নামজারি নথি পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুপুরের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, দুইজন যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে চুরি যাওয়া পানির পাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহম্মেদ বলেন, আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় একটি টায়ার কারখানায় আগুন লেগেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে হালিশহর নয়াবাজার মৌসুমি আবাসিক এলাকায় মাদ্রাসার পেছনে ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম উপপরিচালক আব্দুল মালেক জানান, ‘আমরা ৯টা ২৫ মিনিটে খবর পেয়েছি। আমাদের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।’
৩ সপ্তাহ আগে
সিলেটে অভিযানকালে পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন, যুবক গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে আসামি ধরতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন রুহুল আমিন মিছবাহ নামের এক যুবক।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আরিজঁখাটিলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিসংযোগের হোতা রুহুলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। রুহুল আমিন ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আরিজঁখাটিলা গ্রামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এক আসামি ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই আসামির প্রতিবেশী বসতঘরে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন রুহুল আমিন।
তখন শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পুলিশকে ডেকে এনেছেন মনে করে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য গিয়ে রুহুলকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মনির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তার এমন কাণ্ডের নেপথ্যে কী আছে, তা জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানান ওসি এনামুল হক।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের রোগীদের নিয়ে বিপাকে শেবাচিম
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৩ জন রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) অগ্নিকাণ্ডের পর মেডিসিন ভবনের রোগীদের হাসপাতালের পুরনো ভবনে স্থানান্তর করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কিন্তু পুরনো ভবনে আগে থেকেই অনেক রোগীর চাপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সংকট ছিল। নতুন রোগী আসায় আরও বিপাকে পড়েছে ওই ভবনের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা।
নতুন করে আসা আগুনে পোড়া ভবনের রোগীরা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাধ্য হয়ে নতুন রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে আগুন
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তৃতীয় তলায় কিছু রোগীকে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। আগুনের ঘটনায় রবিবারই ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
রোগীর স্বজন আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আগুন লাগার পর আতঙ্কিত হয়ে রোগীকে এখানে নিয়ে এসেছি। ঠেলাঠেলি করে রোগীকে পুরনো ভবনে আনা হয়েছে। এখানেও কোনো শয্যা পাইনি। রোগীকে ফ্লোরে শুইয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে অসুস্থ রোগী আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুরনো ভবনে কিছু মেডিসিন রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শয্যা দিতে পেরেছি, কেউ কেউ ফ্লোরেও ছিল। সোমবার দুপুর পর্যন্ত নতুন রোগীদের জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। সোমবার দুপুরের পর থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মেডিসিন ভবনে নতুন রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। তিন তলায় রোগীদের শয্যা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার মেডিসিন ভবনের চতুর্থ তলায়ও রোগীদের শয্যা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, আগুনে নিচতলার একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিচতলা বাদে সব তলায় রোগীদের সেবা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
১ মাস আগে
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেলে আগুন
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় হাসপাতালের নতুন ভবনে এই ঘটনা ঘটে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট কাজ করেছে। এছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও আগুন নেভাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এগিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় এলপিজি বহনকারী লাইটারেজ জাহাজে আগুন, ৩১ জন উদ্ধার
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন জানান, সকাল ১০টায় হাসপাতালের নিচতলায় বৈদ্যুতিক সার্কিট বোর্ডে শর্ট সার্কিট থেকে ধোঁয়া বেরুতে থাকে। তীব্র ধোঁয়া হাসপাতাল ভবনের পুরো পাঁচতলায় ছড়িয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ধোঁয়া বের হওয়া বন্ধ হয়নি।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে থাকা প্রায় ৫শ রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমানে রোগীদের হাসপাতালের বাইরে মাঠে রাখা হয়েছে। তাদের হাসপাতালের পুরোনো ভবনে নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি হাসপাতালের উপপরিচালক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন শামিম আহম্মেদ বলেন, ধোঁয়ায় সব আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তাড়াহুড়ো করে বাইরে বের হয়ে আসতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন, একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু
১ মাস আগে