তিনি বলেন, ‘নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে, নতুন ধরনের পণ্য খালাসের সুবিধা প্রদান করতে এবং পণ্য ওঠানামার সময় কমিয়ে সেবার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তিলে তিলে নতুন মাত্রায় গড়ে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দর।’
দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৩ মিলিয়ন ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ‘আমাদের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বন্দরের দক্ষ কর্মীবাহিনী ও ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠানের সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে।’
তিনি জানান, ২০১৮ সালে যেখানে কন্টেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউএস, ২০১৯ সালে সেটি হয়েছে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউএস। কার্গো ওঠানামা হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের এই পরিসংখ্যান চট্টগ্রাম বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদি প্রক্ষাপণকে ছাড়িয়ে গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বর্তমানে বন্দর ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হয়। ইতিমধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরকে সাপোর্ট দিতে আরেকটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বে টার্মিনালের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আউটার লিংক রোড়ের সাথে বে টার্মিনালের সংযোগ সড়ক থাকবে। এছাড়াও বে টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনাল থাকবে, যেখানে ৮ হাজার ট্রাক রাখা যাবে। ২০২৫ সালের পর বন্দর ইয়ার্ডে আর কোনো ট্রাক থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। এ বন্দরের মাধ্যমে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কন্টেইনারজাত পণ্যের ৯৮ শতাংশ পরিবাহিত হয়ে থাকে। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর।
এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম, কমডোর শফিউল বারী, ক্যাপ্টেন মহিদুল হাসান, পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশীদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিমসহ বন্দরের বিভিন্ন শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।