এর আগে শহরের ১০০ শয্যা ও ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন (রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় পৃথক রাখা) ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সোমবার সকাল থেকে এ ইউনিটের কাজ শুরু হয়। ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার দুটি রুমকে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ শয্যার ব্যবস্থা ও আনুসাঙ্গিক কাজ করা হয়। ইতোমধ্যে ওই ভবনে বিদ্যুতের সংযোগ ও শয্যা স্থাপনসহ সেখানে সকল ধরনের লোকজনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে জেলা মাল্টিসেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনকে সভাপতি এবং জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহম্মেদকে সদস্য সচিব করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, নারায়ণগঞ্জে সন্দেহজনক যদি কেউ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তাৎক্ষণিক যাতে আমরা রাখতে পারি এজন্য আইইডিসিআরের পরামর্শ অনুযায়ী ৫০ শয্যা করোনা সেল ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা প্রয়োজন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। প্রয়োজন হলে যেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারি এজন্য করে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জবাসীকে কোন ধরনের আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করে জেলা সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লোকজনদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে কোন ধরনের সমস্যা নেই।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের ইতালি ফেরত এক প্রবাসী ও তার স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার পর বর্তমানে তারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।