শনিবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয় তাদের।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় দেশি-বিদেশি সকলের করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক ছিল। এখন দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে ফেরা প্রত্যেকের ৭২ ঘণ্টার করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে বলে পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১ ডিসেম্বর থেকে করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে ভারত থেকে ফিরছেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা। আর যেসব যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ আনছেন না তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪২৮
আজ ভারতফেরত বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী আশিকুজজামান বলেন, ‘আমি ক্যান্সার রোগী। চিকিৎসার জন্য প্রায় আড়াই মাস ভারতে অবস্থান করেছি। আমার জানা ছিল না যে দেশে ফেরার সময় করোনার নেগেটিভ সনদ লাগবে। জানলে অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরতাম।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের মেডিকেল অফিসার সুমন সেন জানান, ভারত থেকে ফেরা ৩৪২ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জনের করোনার নেগেটিভ সনদ না থাকায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রত্যেকে ক্যান্সার ও হার্টের রোগী। চিকিৎসার জন্য দুই থেকে আড়াই মাস তারা ভারতে অবস্থান করেছেন।
তিনি আরও জানান, যাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। তারা চাইলে নিজ জেলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: করোনা: বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত প্রায় ৮ কোটি, মৃত্যু সাড়ে ১৭ লাখ
মাস্ক ব্যবহারই সমাধান হলে অবহেলার সুযোগ নেই: বিশেষজ্ঞদের মত
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪২৮ জনে।
এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৩৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বায়োএনটেক-ফাইজার টিকা ব্যবহারে ইইউ’র শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন
মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
নতুন যে ৩০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ এবং নারী ৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৬৫৯ জন বা ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৭৬৯ জন বা ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমকি ৬৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।