কোয়ারেন্টাইন
করোনার প্রাদুর্ভাব: উত্তর কোরিয়ায় আরও ২১ জনের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার দুইদিন পর শনিবার এমন তথ্য জানালো উত্তর কোরিয়া।
এপ্রিলের শেষ থেকে জ্বরের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে দেশটিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং দুই লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে এর মধ্যে কয়টি কেস করোনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুন: নিহত সাংবাদিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পুলিশের হামলার অভিযোগ
করোনা সংক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমণ চিহ্নিত না হওয়ার সন্দেহজনক রেকর্ড ভেঙ্গে গেলো বৃহস্পতিবার দেশটি করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামারি স্থিতিশীল করার জন্য সরকার ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি কিছু ব্যক্তিগত ওষুধ সরবরাহ করছেন।
আরও পড়ুন: করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার পর উ. কোরিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ওমিক্রন: ৭ আফ্রিকান দেশের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্তে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশ আফ্রিকার সাতটি দেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। বৃহস্পতিবার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ এই নির্দেশনা জারি করে।
দেশগুলো হলো, বতসোয়ানা, এস্বাতিনি, ঘানা, লেসোথো, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে।
নির্দেশনা অনুযায়ী আদেশটি শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন: দেশে আসতে প্রবাসীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, এই সাতটি দেশ থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের তাদের নিজস্ব খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের সপ্তম ও ১৪ তম দিনে যাত্রীদের নিজস্ব খরচে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সপ্তম দিনের পরীক্ষার ফলাফলে কোভিড-১৯ পজিটিভ যাত্রীদের আলাদা করা হবে তবে করোনা নেগেটিভ যাত্রীরা ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম ২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
এই সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের চেক-ইন করার সময় বাংলাদেশে হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পূর্ববর্তী নির্দেশিকাতে পরিবর্তনের সাথে, ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং সমস্ত গন্তব্য থেকে আসা ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ছাড়া সকল যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনার নেতিবাচক ফলাফলের প্রমাণ থাকতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার জানিয়েছে সারা বিশ্বের ২৩ টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা থেকে আসা কাউকে বোর্ডিং পাস দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
আফ্রিকার দেশগুলো থেকে প্রবাসীদের আসা নিরুৎসাহিত করছে সরকার
জরুরি প্রয়োজন না হলে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশে আসতে পারেন, তবে আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি জরুরি প্রয়োজন না থাকলে দেশে আসা কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে।’
মোমেন অবশ্য স্পষ্ট করেছেন যে, জরুরি পরিস্থিতিতে দেশে আসলে আফ্রিকান অঞ্চলের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসাবে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
আগামী ৪-৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে আসা নিরুৎসাহিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও প্রতিবেশি দেশগুলোর মিশনগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ভার্চুয়ালি বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কে হিলি স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতা
ওমিক্রন: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নতুন ভ্রমণ নির্দেশনা জারি ভারতের
৩ বছর আগে
আফ্রিকা থেকে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ বিস্তার লাভ করা আফ্রিকা মহাদেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে এলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' মোকাবিলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ওমিক্রন করোনার নতুন একটি ভ্যারিয়ে্ন্ট, এটি সাউথ আফ্রিকায় দেখা দিয়েছে। এটি আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, বাংলাদেশে কীভাবে ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রথমে হলো যাতে না আসে বা ঠেকানো যায়, সেই চেষ্টা করা। যদি আসে, কীভাবে ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করবো! আক্রান্তদের চিকিৎসা বিষয়ে কাজ করবো। বিদেশ থেকে যারা আসবে তাদের কীভাবে গ্রহণ করবো, কোয়ারেন্টাইন করবো সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ওমিক্রন ডেল্টা থেকেও বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আক্রান্ত হলে রোগীর মৃদু লক্ষণ থাকে। রোগী দুর্বল হয়, হালকা কাশি থাকে, তবে জ্বর হয় না। যে কারণে বুঝা মুশকিল হয়ে থাকে।
আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। করোনা নিয়্ন্ত্রণ ও চিকিৎসা মোকাবেলায় যে সব অবকাঠামো তৈরি করেছি এগুলো সেই অবস্থায় আছে। বরঞ্চ আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেডও ১৮ হাজার আছে, ১২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনও আছে। লিকুইড অক্সিজেনের পরিমাণও অনেক, প্রায় ৩০০ টনের কাছাকাছি বাংলাদেশ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্য যেসব দেশে এখনও ইনফেকশন কম, সেখানে থেকে টেস্টের সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে পারবে। কিন্তু সেই দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, সেই দেশের লোক আসলে আমরা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের কথা ভাবছি। এটাই আমরা করবো।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন নিয়ে জরুরি বৈঠক: বিদেশে যাওয়ার মাঝপথে দেশে ফিরলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে বলা হয়েছে, যাকে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করতে দেয়া হয়েছে, তারা অনেক সময় হোটেলে থাকেনি। ফাঁকি দিয়ে বের হয়েছে, বাড়িতে পর্যন্ত চলে গেছে। আমরা এ বিষয়ে শক্ত হওয়ার জন্য বলেছি।
কোয়ারেন্টাইনের খরচ কে বহন করবে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খরচটা নিজে বহন করবেন। কেউ যদি না পারেন তখন আমরা বিবেচনা করবো।
টেস্টের বিষয়ে আমরা ৭২ ঘণ্টার পরিবর্তে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি ৪৮ বা ২৪ ঘণ্টায় নামিয়ে আনা যায় কিনা। আমাদের সীমান্তে মনিটরিংটা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক লোক যাওয়া-আসা করে, সেটাকেও একটু কমিয়ে আনা যায় কিনা-এ বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সব জেলায় চিঠি দেবো। জেলা কমিটি উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটিকেও জানাবে। তাদের দায়িত্ব আমরা বলে দেবো। আমরা চাই, সামজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করা হোক। নতুন করে কোন অনুষ্ঠানে গ্রামগঞ্জে ও উপজেলায় যাতে না নেয়া হয়, সেদিকেও আমরা একটা পরামর্শ দেবো।
ওমিক্রন মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে চিঠি দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মসজিদের মাধ্যমেও যাতে আলোচনা হয়, ভুল ম্যাসেজ না দেয়া হয়। এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: গণঅনশনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিএনপির সমলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, চলাচলের সময় কেউ মাস্ক না পড়লে জরিমানা করা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বলেছি তারা যাতে একটা ন্যাশনাল মনিটরিং সেল তৈরি করেন। এই সেলের মাধ্যমে সব জেলা ও উপজেলায় খোঁজখবর রাখবে ও তড়িৎগতিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যে সব সভা করে থাকি। এখন থেকে সভাগুলো, ফিজিক্যাল প্রেজেন্সগুলো একটু কমিয়ে দিয়ে ভার্চুয়াল সভার দিকে যাওয়ার জন্য। সব মিনিস্ট্রি যাতে করে এবং আমরাও সেটা ফলো করব ও এ বিষয়ে পরামর্শ দেবো।’
ইউরোপের দেশগুলোতেও ওমিক্রন ছড়িয়েছে, ওইসব দেশ থেকে লোকজন আসার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে ছড়িয়েছে আমরা জানি, কিন্তু অল্প। তাই ঢালাওভাবে তো আমরা ফ্লাইট বন্ধ করতে পারব না। যারা সংক্রমিত দেশ থেকে আসবে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আমরা জোর দেবো। যে ১৫-২০ টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে সেইসব দেশগুলোকে আমরা আলাদাভাবে দেখব। প্রয়োজন হলে কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টাও জোরদার করবো।
দ. আফ্রিকা থেকে ২৪০ জন দেশে, ফোন বন্ধ- ঠিকানাও ভুল
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট 'ওমিক্রন' শনাক্ত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে ২৪৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন। তারা এসে ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনকি ঠিকানাও দিয়েছেন ভুল।
বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে তদারকির জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের করোনা প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে তারা বাড়িয়ে পতাকা লাগিয়ে দেবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় আমাদের দেশে ২৪০ জন লোক এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে। তাদের আমরা কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয় তারা সবাই মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশের স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা ঠিাকানাটাও ভুল দিয়েছেন। কাজেই এই ধরণেরও কাজ হয়ে থাকে। আমাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশ বা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যখন কেউ আসবে, আমরা তাদের আসতে নিৎসাহিত করতে চাইব। তাদের সাথে আমাদের যাতে কোন ফ্লাইট না থাকে। ওখান থেকে যারাই আসুক তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বাধ্যতামূলক। সেটা হোম কোয়ারেন্টাইন না, ইনস্টিটিউশনাল (প্রাতিষ্ঠানিক) কোয়োরেন্টাইন। সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে, সেই কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজমেন্ট খুব শক্ত হতে হবে। আমরা চাই সশস্ত্র বাহিনীর ব্যক্তিবর্গরা সেই কোয়ারেন্টাইন ম্যানেজ করবেন।’
নো ভ্যাকসিন নো সার্ভিস
করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার বিষয়ে মানুষের মধ্যে অনাগ্রহ দেখা দেওয়ায় 'নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস' অর্থাৎ 'টিকা না নিলে সেবা পাওয়া যাবে না' ব্যবস্থায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এরমধ্যে সিঙ্গেল ডোজ ৬ কোটির মতো, ডাবল ডোজ ৪ কোটির কাছাকাছি হয়ে গেছে। আমরা স্কুলের ছাত্র, বস্তিবাসী, সকল পর্যায়ের লোকজনকে টিকা দেয়ার জন্য একেবারে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত গিয়েছি। ফাইজারের টিকাও আমরা বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নিয়ে গেছি। তারপরও দেখা যায় অনেকে টিকা এখনও টিকা নেননি। আগে যে আগ্রহটা পেয়েছি টিকা নেয়ার সেই আগ্রহটা একটু কম।
‘আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেটা সকলেই একমত হয়েছেন- আগে যেমন ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ছিল ছিল, এখন আমরা বলতে চাচ্ছি ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’। এটা আমাদের পরামর্শ রইল। এটা করতে পারলে আমাদের টিকা কার্যক্রমটা আরও বেগবান হবে, টিকা নেয়ার জন্য লোক এগিয়ে আসবে।
কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখানে বসেই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ শ্লোগানটা তৈরি হয়েছে। আমরা এটা চিঠির মাধ্যমে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবো। তারা এটাকে যার যার মতো করে এনফোর্স করবে। টার্গেট লেভেলে আমরা ব্যবসায়িক সংস্থাকে জানিয়ে দেবো। সরকারিভাবে সরকারি সংস্থাকে জানিয়ে দেবো।
৩ বছর আগে
নেদারল্যান্ডসে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিদের জন্য নির্দেশনা
সম্পূর্ণভাবে টিকা নেয়া বাংলাদেশিদের নেদারল্যান্ডসে পৌঁছে আর হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন পড়বে না।
কিন্তু সম্পূর্ণভাবে টিকা নেয়া সত্ত্বেও ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করার আগে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
যাদের টিকা নেয়া হয়নি বা আংশিকভাবে টিকা নেয়া হয়েছে, তাঁদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইন স্টেটমেন্ট থাকতে হবে এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার-মডার্নার টিকা
৩ বছর আগে
১৬ জুলাই থেকে ইউএস-বাংলার কুয়ালালামপুর-ঢাকা ফ্লাইট শুরু
আগামী ১৬ জুলাই থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে।
প্রতি শুক্রবার কুয়ালালামপুরের থেকে স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে ইউএস-বাংলা এবং ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে অবতরণ করবে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে প্রবাসীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে চলছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট
করোনাকালীন সময়ে যাত্রীদের যাত্রা শুরু করার আগে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং ঢাকা আসার পর নিজ খরচে প্রতিষ্ঠানিক অথবা সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নূন্যতম খরচে ইউএস বাংলার আকর্ষণীয় হলিডে প্যাকেজ
কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার নূন্যতম ভাড়া সকল প্রকার ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ৩০,৬৫৮ টাকা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রয়েছে করোনাকালীন সময়ে সকল প্রকার স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক নির্দেশনা পুরোপুরি পালন করার বাধ্যবাধকতা ।
১৬৪ আসনের বোয়িং৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ৫ জুন থেকে ওমানে ফ্লাইট শুরু ইউএস বাংলার
উল্লেখ্য আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে সব ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪৬৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৫৯
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামে সকল ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত করা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সীমিত করতে হবে। মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হল, মেলার আয়োজন ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ করতে হবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা, আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরিধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাহিরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষ প্রবেশ করা যাবে না।
৩ বছর আগে
করোনা: নেগেটিভ সনদ না থাকায় ভারতফেরত ৩৩ জন কোয়ারেন্টাইনে
করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ না থাকায় ভারতফেরত ৩৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
৩ বছর আগে
করোনা মহামারিতে এবার ব্যতিক্রমী হজ উদযাপন
সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকদের সমন্বয়ে ১০ হাজার মানুষ এবারের হজ পালনে অংশ নিলেও প্রস্তুতিতে কোনো ধরনের কমতি রাখছেন না দেশটির কর্তৃপক্ষ।
৪ বছর আগে
বাড়ি থেকে কাজ করার প্রয়োজনীয় ভিডিও মিটিং অ্যাপস
কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অনেক দেশে লকডাউন চলার কারণে বর্তমানে চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল।
৪ বছর আগে