পরে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরেহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত শেখ রাকিব বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের জাকির ছেলে ও সে কে আলী দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আহত কিশোর রাকিব বলেন, ‘সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে খানজাহান আলী দিঘীর ঘাটে সিঁড়িতে গোসল করছিলাম। হাত-পা ও শরীরে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি কুমির এসে আমার ডান পা কামড়ে ধরে পানিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি জীবন বাঁচাতে কুমিরের চোখ, নাখসহ মাথায় এলোপাথারি ঘুষি মারতে শুরু করি। একপর্যায়ে কুমিরটি আমার পা ছেড়ে দেয়। আমি দৌঁড়ে ওপরে উঠে আসি।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার ফারহান আতিক বলেন, কুমিরের আক্রমণে আহত এক কিশোর হাসপাতালে আসে। কুমিরের কামড়ের তার পাশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে গেছে। আমরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়েছি। কিশোর রাকিব এখন শঙ্কামুক্ত আছে।