জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ জুন দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় বরছড়া রেলব্রিজে এ দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হন।
এ ঘটনার পরে ২৯ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সেতুর কাছে ছয় মাসে সাতটি দুর্ঘটনা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.তাজুল ইসলাম।
রুলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এ ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এ ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহা ব্যবস্থাপক (পূর্ব জোন), বিভাগীয় প্রধান (পূর্বজোন) ও একই জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বরমছালের দুর্ঘটনার পর কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা ২৪ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।