বৃহস্পতিবার সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ব্রিজ পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, বিভিন্ন উঁচু স্থান ও রাস্তায় আশ্রয় নেয়া মানুষজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে খাদ্য সংকট নিয়ে বিপাকে রয়েছেন জেলার ৫৬ ইউনিয়নের সাড়ে তিন লাখ বানভাসী মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে যাত্রাপুর ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। সেখানকার ১১টি চর বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এসব চরাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর, পোরার চর ও গারুহারা এলাকার ১৫০ পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, বন্যায় প্রথম দফায় ৩০০ বন্যার্তদের প্রতি জনকে ১০ কেজি করে চাল এবং দ্বিতীয় দফায় ৩৫০ বন্যার্তদের প্রতি জনকে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি ও এক কেজি লবণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচ হাজার ৩৮৪ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদের আগে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে এ আপৎকালীন সময়ে মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন।