ব্রহ্মপুত্র
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এক মাস ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৯০০ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনশ' বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাকা সড়ক।
অভিযোগ রয়েছে, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ করেননি।
ফলে নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেবের আলগা, হবিগঞ্জ, উত্তর নামাজের চরসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক, শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন, বিউটি খাতুন প্রমুখ।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন বলেন, আমদের এই জায়গায় অনেক মানুষ বসবাস করত। নদী ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারা হয়েছে। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। এজন্য নদী ভাঙন রোধে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এখানে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিউটি খাতুন বলেন, নদীতে পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু নদের ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদি জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ কষ্ট করে বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু করে না। এলাকাবাসীর পক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনরোধে সাময়িক সময়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ এলে কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
১ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্রে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ, দর্শনার্থীদের ঢল
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নদীর পাড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
বালাসীঘাটে বালাসী যুব সমাজ এবং ফুলছড়ি নৌকা বাইচের আয়োজন করেন। নৌকা বাইচ দেখতে গাইবান্ধাসহ উত্তরজনপদের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পুরুষ উপভোগ করেন। খেলা দেখে আনন্দে মেতে ওঠেন দর্শকরা।
এই নৌকা বাইচে দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, সাঘাটা, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার দল অংশ নেয়। এছাড়া রংপুরের সোনারতরী, সাঘাটার মায়ের দোয়া, জামালপুরের শেরেবাংলা, ফুলছড়ির বালাসী তুফান, বকসীগঞ্জের গাজী সৈনিক, সরিয়াকান্দির যমুনা এক্সপ্রেসসহ ৭টি বাইচ দল অংশ নেয়। বাইচে রংপুরের সোনারতরী বাইচ দল বিজয়ী হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের বাইচ দল শেরেবাংলা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
১ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং যমুনা নদীর পানি কমতে পারে।
এছাড়াও আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মা নদীর পানির স্তরও অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা কমতে পারে।
অন্যদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির স্তর বাড়ছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে এবং তা বিপৎসীমার নিচেই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়াও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়লেও কমছে সুরমা নদীর পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে সাঙ্গু নদীর পানি বাড়ছে। অন্যান্য প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় এ অঞ্চলের প্রধান নদী মুহুরী, গোমতী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী প্রভৃতি নদীর পানি কমতে পারে।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত আরও আটজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ১১ জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে নিহতদের মধ্যে ফেনী ও কুমিল্লায় তিনজন এবং নোয়াখালীতে দুজন মারা গেছেন।
এ পর্যন্ত ফেনীতে ২৬ জন, কুমিল্লায় ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও লক্ষ্মীপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
শুক্রবারও মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছি: ডিএমটিসিএল এমডি
২ মাস আগে
চিলমারীতে বাঁধ ভাঙা আতঙ্কে ৩০ গ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও তীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। হুমকির মুখে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামসহ হাজারো একর ফসলি জমি।
বাঁধ ভেঙে গেলে চিলমারী উপজেলা সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এই আতঙ্কে চোখে ঘুম নেই তীরবর্তী মানুষের। বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলে লোক দেখানো কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা বলছে, শুষ্ক মৌসুমে জিও ব্যাগ অথবা ব্লক দিয়ে তীর রক্ষা করা হলে বন্যার সময় কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকত না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, পানিবন্দি সোয়া ১ লাখ মানুষ
সরেজমিনে দেখা যায়, চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী কাঁচকোল এলাকায় বন্যায় পানি বেড়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পানির তীব্র স্রোতে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে দেখা দিয়েছে ধস। পানির তোড়ে দেবে গেছে প্রায় ৩০ মিটার পিচিং, ভেঙে গেছে বাঁধ। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে হাজারো একর ফসলি জমি। এছাড়া রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সড়কটারী, শিমুল তলা বাঁধ গ্রাম, পাঁচাগ্রাম, পূর্ব ভাটিয়া পাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রাম। শুধু তাই নয় এই তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেলে নিমিষেই তলিয়ে যাবে উপজেলা সদরসহ প্রায় শতাধিক গ্রাম। তীর রক্ষা প্রকল্পে ধস দেখা দেওয়ায় ভাঙন ও প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ।
কাঁচকোল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ভাঙন বা ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে এবং জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করে। সেই কাজেও ধীরগতি ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বারবার এই ধস ও ভাঙনের আতঙ্কে পড়ে এলাকাবাসী।
তারা আরও বলেন, এই বাঁধ ভেঙে গেলে শুধু রানীগঞ্জ নয় উপজেলা সদরও পড়বে হুমকির মুখে। শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হবে লক্ষাধিক মানুষ।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, পানির প্রবল স্রোতে এই ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধসহ ডানতীর রক্ষা প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড যে বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করছে এটি অত্যন্ত নিম্নমানের। এর সঙ্গে বালুগুলোও ভালো না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, আপাতত জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ছাড়া হাতে কিছু নেই। তবে আমি মনে করি শুষ্ক মৌসুমে যদি এই কাজ করা যেত তাহলে কোনো চিন্তা থাকত না।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আসলে অবৈধভাবে যেখানে সেখানে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙছে। দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, তীর ঘেঁষে কিংবা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, যেসব এলাকায় বাঁধ ধসে গেছে, সেসব এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলছে। আশা করি আর সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। ৯টি জেলায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ৭৮ সে.মি., নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সে.মি. এবং হাতিয়া পয়েন্টে ৮০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চিলমারী থেকে রৌমারীগামী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
এছাড়াও ২ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিউর বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে আছে। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা ধরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা নিচে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় ৬২ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের কাউয়াবাধা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে পড়ে কামরুল ইসলাম নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ মে) ডাক্তার দেখানোর জন্য নৌকা করে বাড়ি থেকে বালাসীঘাটে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে ৬ ঘণ্টা পরেও কামরুল ইসলাম নামের যুবককে উদ্ধার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি
স্থানীয় লোকজন ছাড়াও রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তাকে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।
নিখোঁজ কামরুল ইসলামের বাড়ি ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিযনের হরিচন্ডি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
নিখোঁজ কামরুল ইসলামের মামা নুরুন্নবী মিয়া বলেন, কামরুলের সঙ্গে নৌকায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কামরুল নৌকা থেকে পড়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়। কামরুল ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ। ডাক্তার দেখানোর জন্য নৌকা যোগে বাড়ি থেকে বালাসীঘাটে আসার পথেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার কাজল মিয়া বলেন, নিখোঁজ কামরুলকে উদ্ধারে ব্রম্মপুত্র নদে ফুলছড়ি ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থলে নদীর পানি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীরতা রয়েছে। সেইসঙ্গে নদীতে অনেক স্রোত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে স্রোতের পানিতে লাশ অনেক দূরে ভেসে গেছে। এ কারণে তাকে উদ্ধারে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করেছেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কাজল মিয়া।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের নিখোঁজ সংসদ সদস্যের লাশ উদ্ধার, প্রধানমন্ত্রীর শোক
ইরানের পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, এখনো নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট
৬ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে মো. মহুবর রহমান নামের এক জেলের জালে ৮৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সাহেবের আলগার কাজিয়ার চর ব্রহ্মপুত্র নদে মাছটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
পরে জেলে মহুবর রহমান বিশালাকৃতির বাঘাইড় মাছটি বিক্রির জন্য হাতিয়া ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী মন্টুর কাছে বিক্রি করতে গেলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী মন্টু জানান, মাছটি এক লাখ দুই হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিই। পরে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুক্তাদির খান বলেন, বিষয়টি অবগত নই। তবে বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
কুড়িগ্রামে মাছের গায়ে ‘আল্লাহু'!
১১ মাস আগে
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে গুরুত্বপূর্ণ পাগলার বাজার
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে পাগলার বাজার। জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার দুর্গম নারায়ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর গ্রামে অবস্থিত এই জমজামট বাজারটি।
চলতি বছরের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে বাজারের দেড়শটি দোকানের মধ্যে ২২টি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে- পদ্মারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পদ্মারচর আবাসন প্রকল্প, আবাদি জমি ও শতাধিক বসতবাড়ি।
বাজারটি রক্ষায় এলাকাবাসী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সরজমিনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নৌঘাট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা শ্যালো নৌকায় পৌঁছানো হয় পাগলার বাজার নামক স্থানে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাজারটির ভাঙন কবলিত দুর্দশা। বাজারের উত্তর-পশ্চিম ঘেঁষে ২২টি দোকানের স্থানটি নদীতে ধ্বসে পরেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দোকান।
বাজারের ইজারাদার শাহাজুল হক জানান, ২০১২ সালে বাজারটি স্থাপন করা হয়। প্রথমে এমপির বাজার নামকরণ করা হলেও একজন অচেনা পাগলের আবির্ভাবের পর এর নাম হয়ে যায় পাগলার বাজার। এই বাজারের আশে পাশে কোন বাজার নেই। উত্তরে ৫ কিলোমিটার নৌপথে রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা নারায়ণপুর বাজার।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণে রয়েছে ১০ কিলোমিটার নৌপথে যাত্রাপুর বাজার। এখানকার ১০টি চরের ২০ হাজার মানুষের কেনাকাটার জন্য রয়েছে একমাত্র এই বাজারটি। এটি ভেঙে গেলে বাজারের দেড়শ ব্যবসায়ী পরে যাবে চরম বিপদে। দুর্গম এলাকা জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে কোন কাজ করতে চায় না। আমরা বাজার, স্কুল ও আবাসনটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করেছি।
বাজারের ব্যবসায়ী মানিক হোসেন ডাক্তার, জাহেদুল ইসলাম ও রফিকুল মাস্টার জানান, আমাদের পদ্মারচরটি প্রায় ৭০ বছরের পুরনো চর। এখানে প্রায় ২ হাজার ৬০০ পরিবারের বসবাস। এছাড়াও পাশেই রয়েছে ঝুনকারচর, দেবারী খোলা, পয়াস্তি ঝুনকা, অস্টআশির চর, রলাকাটা, বারোবিশ, নারায়ণপুর, মোল্লাপাড়া, ব্যাপারীর চর ও শান্তিয়ার চর। এসব চরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করে এই বাজার থেকে। এই বাজার ভেঙে গেলে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতা ভীষণ বিপদে পরে যাবে।
এই বাজারের অরছব আলী, দুলাল, বুলু ও আলী হোসেন জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদীর মধ্যে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরবাসীদের জীবন-জীবিকার সাথে হাট-বাজারগুলোর অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে। জেলার দুর্গম ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে স্থানীয়দের উদ্যোগে গড়ে ওঠা পাগলার বাজারটি আশপাশের ১০টি চরের মানুষের একমাত্র ক্রয়-বিক্রয় ও সময় কাটানোর জায়গা। বিকাল হলেই লোকজন এক কাপ চা আর গল্প করার জন্য এখানে ছুটে আসেন। এছাড়াও সপ্তাহে হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। হাটটি বিলিন হলে বিপদে পড়বে ২০ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি। পাগলার বাজারে ভাঙনের কথা আমরা জানতে পারলাম। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
১ বছর আগে
ভৈরবের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বিজয় নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেন ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির গ্রামের বাড়ি ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। শহরের কমলপুরে ভাড়া থাকত। তার বাবা পাদুকা কারখানার শ্রমিক।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৯ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ভৈরব শহরের জগন্নাথপুর বেনী বাজার এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায় এক শিশু। তখন স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চান। তাৎক্ষণিক ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের সদস্য ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় ভৈরব নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের লিডার রাশেদ জানান, মঙ্গলবার ১২টার দিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে ১টা ৫০মিনিটে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। উদ্ধারের পর শিশুর পরিচয় জানতে পারি।
ভৈরব নৌ পুলিশ ইউনিটের ইনচার্জ (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আমাদের সংবাদ দেয় ব্রম্মপুত্র নদে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে একটি শিশু ডুবে যায়। এ খবরে ঘটনাস্থলে এসে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করি। শিশুর বাবা তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এখন আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিইসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি নদীর জলস্তর পর্যবেক্ষণের পর ৯১টি স্টেশনে জলস্তর বৃদ্ধি এবং ১৫টি অন্যান্য স্টেশনে জলস্তর হ্রাস পাওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার এফএফডব্লিউসি’র পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিনটি নদী স্টেশনে জলস্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং সমস্ত নদীর পানি বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া এই অঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর (সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা) পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’
তারা আরও জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে এই সময়ে নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ফের বন্যায় ভাসতে পারে সিলেট-সুনামগঞ্জ
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
ইউএনবি কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান: প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে কুড়িগ্রামে উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর পানির উচ্চতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিচু চর এলাকাগুলো প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে।
ফলে নদী অববাহিকায় মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলার নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ বর্তমানে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে।
চর ও নিচু এলাকায় নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ২২ ও ২৩ জুন এসব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে অবিরাম বর্ষণে আবারও বন্যার শঙ্কা
বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
১ বছর আগে