কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে পানিবন্দী অবস্থা থেকে সাময়িক কিছুটা মুক্তি পেলেও ভাঙা বাড়িঘর ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যার্তরা।
জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, ঈদ উপলক্ষে চার লাখ ২৮ হাজার ৫২৫টি বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া দুই দফা বন্যায় ৪৯২ দশমিক ৭২ মে.টন জিআর চাল, জিআর ক্যাশ ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা, শুকনো খাবার ছয় হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য চার লাখ টাকার এবং চার লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুবিধাভোগী পরিবার ৪৬ হাজার ৫৩৯টি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এক লাখ ২৬ হাজার ৯৩৪টি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫টি পরিবার রয়েছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও নাগেশ্বরী পৌরসভার ১৭ হাজার সুবিধাভোগীকে বিশেষ ওএমএস’র আওতায় মাসে ২০ কেজি করে চাল ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার দাবি করলেও কোনো এনজিও এই দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম।