দুপুর গড়িয়ে গেলেও দিনের অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন।
শুক্রবার স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বৃদ্ধরা শিকার হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসগুলোতেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় ১২, ডায়রিয়ায় ২৭ এবং অন্যান্য সমস্যায় শিশু ওয়ার্ডে ৬১ শিশু চিকিৎসা নিয়েছে।
প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ
এছাড়া, বহির্বিভাগে প্রতিদিন অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
জেলার বাইরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১২ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২১ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন
জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলার নয় উপজেলা ও তিন পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ৩৫ হাজার কম্বল, শীত বস্ত্র কেনার জন্য ৬৪ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটের ভেতর ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি চিনি ও আধা কেজি লবণ রয়েছে।