আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভবন ধস: ৪৬ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিসের অফিস ইনচার্জ ফারুক আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ভবনটি ধসে পড়ে যায়। এ সময় ভবনের ভেতরে আটজন আটকা পড়েন।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার তলা ভবন ধসে শিশুর মৃত্যু
ফারুক আহমেদ আরও জানান, ঝিলের পানির মধ্যে পাইলিং ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে ছয়টি পরিবার বসবাস করছিল।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ভবন ধস: আরেকজনের লাশ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জে বেশিরভাগ ভবনই রাজউকের অনুমিত না নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে ধসে পড়া ওই ভবন সংলগ্ন আরও পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিস্ফোরণের পর ভবন ধসে ব্যবসায়ী নিহত
এসব ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইস্তানবুলে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ এ শিল্প-দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক হাজার ১৩৪ পোশাক শ্রমিক। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। জীবিত উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৮ জনকে। ওই ভবনের মালিক ছিলেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা।
এ ঘটনায় ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা’ মামলা দায়ের করেন তৎকালীন সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ। পরে ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।