এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আজহারুল ইসলামের অভিযোগ, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ৯টায় তার স্ত্রী পিয়া বেগম একমাত্র কন্যা আস্থা খাতুনকে নিয়ে বাড়ির পাশে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে তিনি গোপনে জানতে পেরেছেন ডুমুরিয়া বড় বাজার এলাকার শাহাজান শেখের ছেলে সাকিব তার স্ত্রী ও কন্যাকে অসৎ উদ্দেশ্যে কোথাও নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রী ও কন্যা হারিয়ে যায়। একই দিন আমাদের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা সাকিবও নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি আমার স্ত্রী ও কন্যাকে সাকিবই নিয়ে গেছে। আমাদের সন্দেহ হয়তো সাকিব মিথ্যা কথা বলে তাদের কোথাও জোরপূর্বক আটকে রেখেছে। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী অত্যন্ত পর্দাশীল। সে কোনো ছেলের সাথে অসৎ উদ্দেশ্যে কোথাও যেতে পারেন না। তাই আমি তাদের উদ্ধারের জন্য থানায় মামলা করতে চাচ্ছি। তবে পুলিশ আমার কাছে ৩ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। তাই শুধু অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছি।’
এদিকে, গৃহবধূর বাবা মো. শাহাজান আলী শেখ পাল্টা অভিযোগ তুলে গত ১ মার্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি। আজ মামলা নেয়ার সিদ্ধান্ত পেয়েছি। এখন মামলা নিতে পারব।’