আসামিরা হলেন- দাকোপের মো. সোহরাব হোসেন মোল্লা (৭০), মো. মতিয়ার রহমান সানা ওরফে মনিসানা (৭২), মো. এলাই গাজী (৭২), মো. জহুর শেখ (৭০) এবং নগরের নূরনগর খালিশপুর এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম (৭১) ও খুলনা সদরের স্যার ইকবাল রোডের মো. আব্দুল খালেক (৬৮)।
বৃহস্পতিবার খুলনার মূখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে (১) এ সুখজান বিবি নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। তিনি খুলনার দাকোপের গড়খালী গ্রামের সেই সময়কার আওয়ামী লীগ কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক মহাতাপ বিশ্বাসের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আসমিরা রাজাকার এবং শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে মামলার আসামিরা বাদীর স্বামী মহাতাপ বিশ্বাসসহ নয়জন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীকে গল্লামারী পুরানো ব্রীজের পশ্চিম পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।
এছাড়া আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে, নারী ধর্ষণ, নিরীহ মানুষের ধন সম্পদ লুটতলাজ করে ঘৃণ্যতম অপরাধ করেছে উল্লেখ করার পাশাপাশি মামলায় সাত জনকে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।