এ ঘটনায় বরুড়ার শাকপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবাদ হোসেনও জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাকপুর নতুন বাজার এলাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে রবিবার বিকালে এ সব অভিযোগ করেন হয়রানির শিকার শাকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ আহম্মেদ।
তিনি বলেন, ‘গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯টায় পুলিশের তিন সদস্য, আবাদ মেম্বার তার মুরগীর খামারে এসে অনুসন্ধান শুরু করে। পরে খামারকর্মী শিপনকে মাদকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাশের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বাড়ির উঠান থেকে তিন প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করে। এসময় একটি গাঁজার প্যাকেট আমার পায়ের কাছে ছুঁড়ে মারে এবং এএসআই ইসমাইল ও খলিলসহ সঙ্গীয় ফোর্স আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেয়। পথে আবাদ মেম্বার তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে।’
‘এ সময় পুলিশি হয়রানির ভয় দেখিয়ে তিন ধাপে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা ও খামার কর্মী শিপনের একটি খাশি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি পুলিশ সুপার অফিসে অভিযোগ করেন।’
অভিযুক্ত এএসআই খলিল ও ইসমাইলের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত মেম্বার আবাদ হোসেন অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এব্যাপারে বরুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘বিষয়টি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল স্যার তদন্ত করছেন।’
সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল বলেন, ‘এএসআই খলিল ও ইসমাইলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’