লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মদনপুর গ্রামের বাচ্চা মিয়া (৬৭)। তিনি ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করেন। কারণ তিনি হাঁটতে পারেন না। আর এভাবেই পরিবারের ভরণ-পোষণ মেটাতে হচ্ছে তাকে।
বৃদ্ধ বাচ্চু মিয়ার দুই মেয়ে এক ছেলে। তবে তারা কেউই এখন তাদের খোঁজ-খবর রাখেন না। তাই জীবনের তাগিদেই তাকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে হয়েছে। তাছাড়া এখন তার যে বয়স, এ বয়সে তাকে কাজ দেয়ার মতো কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছেন।
জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে ভিক্ষার টাকা জমিয়ে ঘোড়া কেনেন বাচ্চা মিয়া। ঘোড়ায় চড়েই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা করেন তিনি। প্রতিদিন ভিক্ষা করে তার ৩০০-৪০০ টাকার মতো আয় হয়। এতে বেশ ভালোই চলছে বাচ্চার সংসার।
ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেয়ার বিষয়ে বাচ্চা মিয়া বলেন, ‘কেউ কি আর ইচ্ছা করে ভিক্ষা করে? কেউ কি আর ইচ্ছা করে ভিক্ষুকের জীবন বেছে নেয়? বাধ্য হয়েই এ পেশাতে আসতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়াটাই তার সন্তান। শেষ বয়সে বাবা-মা যেমন সন্তানদের অবলম্বনভাবে, ঘোড়াটাও তার কাছে তাই। ঘোড়াটা আছে বলেই ঘরে চুলা জ্বলে।’