মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট জিসান সানজিদা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী ফটিকছড়ির নারায়নহাট রেঞ্জের আওতাধীন বালুখালী বিটের তৎকালীন বিট কর্মকর্তা (বর্তমানে করেরহাট বিট কর্মকর্তা) নঈমুল ফরেস্টার বলেন, হালদাভ্যালী ১৩৪ একর জায়গা লিজের কথা বললেও তারা বালুখালী বিটের কয়েকশ একর জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বাগানের সীমানায় নিয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত তারা দখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার সময়ে যখনই জায়গা দখল করেছে আমি তাৎক্ষণিক মামলা দিয়েছি। আজ তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি থাকাকালে তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে পরে আরও একাধিক বন মামলা রয়েছে।
এদিকে নারায়নহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং বালুখালী বিটের দায়িত্বে থাকা বর্তমান বিট কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, হালদাভ্যালী চা বাগান কর্তৃপক্ষ বালুখালী বিটের অধিকাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও দখলদারিত্ব কমছে না।
প্রসঙ্গত, ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থানা এবং বন আদালতে হালদাভ্যালী চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।