চট্টগ্রাম মহানগরীর জুবিলী রোড এলাকায় অবস্থিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চুরির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একই ভবনে বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স নামক অপর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করেছে পেশাদার একটি চোর চক্র।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। পুলিশের হাতে আটক হয়েছে চক্রের ৩ সদস্য এবং উদ্ধার হয়েছে লুণ্ঠিত টাকা।
গ্রেপ্তাররা হলেন- টাংকি পাহাড় শান্তিনগর জি-ব্লকের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. মনির হোসেন ও তার স্ত্রী খুকু মনি প্রকাশ খুকি বেগম (২৮), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার চাঁনপাড়া এলাকার মো. আজিজের ছেলে মো. মাহফুজ।
শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপ-কমিশনার বিজয় বসাক।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন রেলস্টেশনস্থ গাউছিয়া সাইকেল মার্টের বিপরীত পাশে গ্রামীণ মাঠের প্রবেশমুখে চুরির ঘটনায় জড়িত সিএনজি অটোরিকশা ড্রাইভার মাহফুজকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২টি চাপাতি জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল চুরির মামলায় নন্দীগ্রামে আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
তিনি জানান, গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালক মাহফুজের তথ্যমতে শনিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনি কাঁচাবাজার টাংকি পাহাড় এলাকা থেকে মো.মনির হোসেন ও খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুকি বেগমের হেফাজতে থাকা চোরাইকৃত টাকা বসতঘরের রুমে সানসিটের ওপরে পাওয়া যায়। এসময় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগভর্তি চোরাইকৃত ২৭ লাখ টাকা ও চোরাইকাজে ব্যবহৃত ১টি রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. মনির হোসেন দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চুরি পেশায় জড়িত এবং প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি চুরির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে জুবলী রোড মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক শাখার ভিতরে প্রবেশ করে কর্মকর্তারা দেখেন, ব্যাংকের দক্ষিণ পাশে জানালার লোহার গ্রিল কাটা। ব্যাংকের মধ্যে চোর ঢুকলেও কোনও মালামাল বা টাকা-পয়সা নিয়ে যায়নি।তবে একই ভবনের ৪র্থ তলার বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স অফিসের ভিতরে অফিসের ২টি জানালার গ্রীল কাটা এবং অফিস কক্ষের ভিতর রক্ষিত লোহার সিন্ধুক ও আলমারির ড্রয়ার খোলা অবস্থায় পড়েছিলো। এছাড়া সিন্ধুকের ড্রয়ারের ভিতর রক্ষিত যাবতীয় মূল্যবান জিনিসপত্রসহ কাগজপত্র মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা হতে ভোর ৬টার মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরি সংঘটিত হয় বলে জানায় পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, গ্রেপ্তার মো. মনির হোসেন একজন পেশাদার চোর। তিনি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চুরি পেশায় জড়িত। এ সময়ে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি চুরি করেছে সে। চুরি পেশার পাশাপাশি বিশ্বকলোনি শাপলা গ্যাসলাইন এলাকায় তার একটি ভাঙ্গারির দোকান আছে। সে চোরাইকৃত মালামালগুলো ওই দোকানে রেখে বিক্রি করে।