চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ অঞ্চলে বোরো চাষে ২১ হাজার কৃষক জড়িত রয়েছেন।
কৃষকরা জানান, বিগত আমন ও বোরো মৌসুমে ধান চাষে বিঘা প্রতি প্রায় ৫ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। যে কারণে এবার অনেকেই ভুট্টা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। এই জন্যই ধানের চাষ কম হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নে ২ হাজার ১২০ হেক্টর, পাশাপোলে ২ হাজার ১০০ হেক্টর, সিংহঝুলিতে ১ হাজার ২০০ হেক্টর, ধুলিয়ানীতে ৯৫০ হেক্টর, চৌগাছা সদরে ১ হাজার ১০০ হেক্টর, জগদীশপুরে ১ হাজার ৫০ হেক্টর, পাতিবিলায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর, হাকিমপুরে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, স্বরূপদহে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর, নারায়ণপুরে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর, সুখপুকুরিয়ায় ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং চৌগাছা পৌর এলাকায় ৭০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।
এসব জমিতে ব্রি-২৮, ব্রি-৫০, ব্রি-৬৩, ব্রি-৮১, সুবললতা, কাজললতা, মিনিকেট, সিনজেনটা-১২০৩ ও এএসএল-৮৮ ধানের চাষ হয়েছে বেশি। এছাড়াও অন্যান্য জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত মৌসুমে ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া এবং চলতি বছর ভুট্টা, গোল আলু, পেঁয়াজ, গম, মসুরসহ অন্য আবাদে কৃষক ঝুঁকছে বলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৮০ হেক্টর কম জমিতে বোরো চাষ করেছেন কৃষকরা।