চুয়াডাঙ্গায় ছেলের বিরুদ্ধে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালী গ্রামে শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পিরোজখালী গ্রামের কাজিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জবেদা খাতুন (৪৫) ওই গ্রামের আসান আলীর স্ত্রী এবং অভিযুক্ত মুকুল হোসেনের মা।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
পুলিশ জানায়, মুকুল পরপর তিনটা বিয়ে করেছে। তাদের মারধোর করার কারণে সব স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেছে। শনিবার বিকালে মায়ের সঙ্গে খাবার খেতে বসে মুকুল। এ সময় কোনো কারণে খাবার খাওয়াকে কেন্দ্র করে মায়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে মুকুল। পরে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মায়ের মৃত্যু হয়।
পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, মুকুল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসাও চলছে বলে তিনি জানেন।
তিনি বলেন, তার তিন স্ত্রীর চলে গেছে। কোনো স্ত্রীর একটি সন্তানকে নিয়ে থাকে মুকুল। শনিবার বিকালে খাবার খাওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে মুকুলের সন্তান প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। প্রতিবেশীরা এসে দেখে মায়ের লাশ মেঝেতে পড়ে আছে আর মুকুল পাশের ঘরে চেয়ারে বসে আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, মুকুল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন কি না, সেটা চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন। ঘর থেকে অভিযুক্ত মুকুলকে আটক করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মামলাও প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ডেকে তোলায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা!
একরাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় ইউপি সদস্য হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ