মা
ময়মনসিংহে কৃষক হত্যা মামলায় মা ও ৩ ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কৃষক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় এক নারী ও তার তিন ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মাসকান্দা গ্রামের হাজেরা খাতুন এবং তার তিন ছেলে মো. কুতুব উদ্দিন, ছইব উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
এদের মধ্যে হাজেরা খাতুন, কুতুব উদ্দিন ও ছইব উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে মাসকান্দা গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রকৃতির ডাকে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরদিন হাবিবুরের মা তারাবানু বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযুক্ত ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ৫ জনের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
অপর আসামি করিম উদ্দিনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস ও বাকিদের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
১ সপ্তাহ আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারে থাকা মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে জুলাইয়ে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, আহত ৩৬
নিহতরা হলেন, জেলার সরাইল উপজেলার তেলিকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী ফয়েজ বানু (৪৫) ও তার মেয়ে ফেরদৌসী (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি বহনকারী ট্রাক্টরকে পেছন থকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা মা-মেয়ে নিহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক্টরটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের শ্রমিক নিহত
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
২ মাস আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
সম্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা জাহানারা বেগমকে তালাবদ্ধ ঘরে ৩ মাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকা থেকে জাহানারাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। জাহানারা বেগম (৭০) গোর্কণঘাটের মৃত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তির লোভে জাহানারাকে তিন মাস একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তার ছেলে-মেয়েরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
ওই নারীর সন্তানদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরে বন্দি করে রাখে। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেওই নারীর কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
৩ মাস আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা ও ছেলের
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিরিনা খাতুন ও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দিকে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- হলেন চারিপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং তার মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ।
স্থানীয়রা জানায়, জলমটর দিয়ে পানি উঠানোর জন্য পুকুরে নামেন শিমুল। এসময় ছেঁড়া তারে শিমুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলেকে বাঁচাতে মা শিরিন আক্তার এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও ছেলে।
বারবারিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশার চালক নিহত
পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
৫ মাস আগে
মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মা মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে ছেলে মুন্না বাবুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরে তাদের কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন, মিরপুর থানার কাঠদহর চর গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে মুন্না বাবু, ইয়াছিন আলির ছেলে রাব্বী আলামিন এবং ইনছার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের।
এর মধ্যে মুন্না বাবুর আপন চাচা আব্দুল কাদের।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার কাঠদহর চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মমতাজ বেগম।
এ ঘটনায় তার ভাই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে সন্দেহমূলকভাবে মমতাজের ছেলে মুন্না বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় চাচা আব্দুল কাদেরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি মাকে হত্যা করেন।
পরে লাশ একটি বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরের কাদার মধ্যে পুঁতে রাখে। মুন্নার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে।
পরে এই হত্যাকাণ্ড তাদের দায় স্বীকার করে দণ্ডপ্রাপ্ত মুন্না ও রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৫ মাস আগে
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে রায় প্রদানের সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জ্যেৎস্না বেগমকে নির্যাতন করতেন হেলাল ও জেসমিন। স্থানীয় সালিশে জ্যেৎস্নার ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক ফুরাডন (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও তার সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের কৌঁসুলি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৬ মাস আগে
মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মারা গেলেন মা!
পাবনার আটঘরিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মেয়ে আমেনা খাতুন। আর মেয়ের এই মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার মা ইসমত আরাও মারা গেলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের পাটেশ্বরে ঘটনাটি ঘটে।
পাটেশ্বর গ্রামের আলেম মোল্লা আমেনার বাবা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, আমেনা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আমেনার।
ওই খবর শোনার পর তার মা ইসমত আরা স্ট্রোক করলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তারও মৃত্যু হয়।
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাঈম্মীন হোসাইন চঞ্চল জানান, আমরা যতটুকু পারি পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খামারে আগুন লেগে ১১ গরুর মৃত্যু
দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
৮ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা রশিদা খানমকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১০ মার্চ) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় দেন।
আসামি নাহিদ ইমরান সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী জেবুন্নেসা জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নিয়ন ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণ হওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মায়ের কাছে টাকা দাবি করতেন।
কিন্তু মা টাকা দিতে অস্বীকার করায় এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যা করেন।
ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর নিয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৮ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ মামলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গাজী আব্দুর রহমান বলেন, আসামি আইয়ুব আলী জেল হাজতে আছেন। রবিবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর তাকে আবারও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও রায়ের সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার রওশনারা খাতুন তার দুই শিশু পুত্র জিহাদ ও মাহিনকে নিয়ে বেলকুচি থানাধীন মরুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি আইয়ুব আলী ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রওশনারার বাড়িতে বেড়াতে যান। গভীর রাতে উঠে ট্রাংকের তালা খুলে টাকা বের করার চেষ্টা করলে শব্দে রওশনারার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আইয়ুব আলী পাথরের শীল দিয়ে প্রথমে রওশনারার বুকে আঘাত করেন এবং পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এসময় রওশনের দুই ছেলে মাহিন ও জিহাদকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন আইয়ুব আলী। তাদের তিনজনকে হত্যার পর ঘরের সবগুলো ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজে না পেয়ে পরদিন ভোরে দরজার বাইরে শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
৮ মাস আগে