মা
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা ও ছেলের
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিরিনা খাতুন ও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দিকে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- হলেন চারিপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং তার মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ।
স্থানীয়রা জানায়, জলমটর দিয়ে পানি উঠানোর জন্য পুকুরে নামেন শিমুল। এসময় ছেঁড়া তারে শিমুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলেকে বাঁচাতে মা শিরিন আক্তার এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও ছেলে।
বারবারিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশার চালক নিহত
পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মা মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে ছেলে মুন্না বাবুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরে তাদের কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন, মিরপুর থানার কাঠদহর চর গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে মুন্না বাবু, ইয়াছিন আলির ছেলে রাব্বী আলামিন এবং ইনছার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের।
এর মধ্যে মুন্না বাবুর আপন চাচা আব্দুল কাদের।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার কাঠদহর চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মমতাজ বেগম।
এ ঘটনায় তার ভাই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে সন্দেহমূলকভাবে মমতাজের ছেলে মুন্না বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় চাচা আব্দুল কাদেরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি মাকে হত্যা করেন।
পরে লাশ একটি বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরের কাদার মধ্যে পুঁতে রাখে। মুন্নার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে।
পরে এই হত্যাকাণ্ড তাদের দায় স্বীকার করে দণ্ডপ্রাপ্ত মুন্না ও রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে রায় প্রদানের সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জ্যেৎস্না বেগমকে নির্যাতন করতেন হেলাল ও জেসমিন। স্থানীয় সালিশে জ্যেৎস্নার ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক ফুরাডন (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও তার সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের কৌঁসুলি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মারা গেলেন মা!
পাবনার আটঘরিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মেয়ে আমেনা খাতুন। আর মেয়ের এই মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার মা ইসমত আরাও মারা গেলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের পাটেশ্বরে ঘটনাটি ঘটে।
পাটেশ্বর গ্রামের আলেম মোল্লা আমেনার বাবা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, আমেনা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আমেনার।
ওই খবর শোনার পর তার মা ইসমত আরা স্ট্রোক করলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তারও মৃত্যু হয়।
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাঈম্মীন হোসাইন চঞ্চল জানান, আমরা যতটুকু পারি পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খামারে আগুন লেগে ১১ গরুর মৃত্যু
দেশে আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
সিরাজগঞ্জে মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা রশিদা খানমকে গলাকেটে হত্যার দায়ে ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১০ মার্চ) সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এ রায় দেন।
আসামি নাহিদ ইমরান সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী জেবুন্নেসা জেবা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নিয়ন ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ঋণ হওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বিভিন্ন সময় মায়ের কাছে টাকা দাবি করতেন।
কিন্তু মা টাকা দিতে অস্বীকার করায় এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যা করেন।
ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর নিয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
এ মামলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রবিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গাজী আব্দুর রহমান বলেন, আসামি আইয়ুব আলী জেল হাজতে আছেন। রবিবার রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এরপর তাকে আবারও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও রায়ের সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার রওশনারা খাতুন তার দুই শিশু পুত্র জিহাদ ও মাহিনকে নিয়ে বেলকুচি থানাধীন মরুপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি আইয়ুব আলী ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রওশনারার বাড়িতে বেড়াতে যান। গভীর রাতে উঠে ট্রাংকের তালা খুলে টাকা বের করার চেষ্টা করলে শব্দে রওশনারার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আইয়ুব আলী পাথরের শীল দিয়ে প্রথমে রওশনারার বুকে আঘাত করেন এবং পরে গলাটিপে হত্যা করেন। এসময় রওশনের দুই ছেলে মাহিন ও জিহাদকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন আইয়ুব আলী। তাদের তিনজনকে হত্যার পর ঘরের সবগুলো ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজে না পেয়ে পরদিন ভোরে দরজার বাইরে শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
প্রীতি উড়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি বাবা-মায়ের
শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উড়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রীতির বাবা-মা অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে নির্মমভাবে মোহম্মদপুরের একটি ভবনেরআটতলা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক জড়িত। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ কার্যকর বহুমুখী সংযোগে নিহিত: প্রণয় ভার্মা
তারা বলেন, সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার কাজে নিয়োজিত ছিল প্রীতি উড়ান।
সৈয়দ আশফাকুল হককে সমর্থন দেওয়ার জন্যে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের অষ্টম তলার ফ্ল্যাট থেকে পরে নিহত হন শিশু গৃহকর্মী প্রীতি উড়ান।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
নিহত প্রীতির বাবা লুকেশ উরান, মা নমিতা উরান, কবিতা উরান, চা শ্রমিক, নিহত প্রীতির চাচাতো বোন, শংকর তাতী, মনু ধলই ভ্যালী পরিষদের সাংগঠনিক ফিল্ড কর্মী, মঞ্জুরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মিন্টু শেখ, তাইজউদ্দীন রনি, সমাজসেবক ও আইনজীবী এম রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্য ও সাধারণ জনতা মানববন্ধনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এআই বিষয়ক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী
দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথেই প্রাণ গেল মা ও ছেলের
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার (লাহিনী-সান্দিয়ারা) সড়কের বাঁধবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার সেনাসদস্য রহমত আলীর স্ত্রী মোছা. ছালমা খাতুন ও তার ছেলে স্মরণ।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম মাসে সিলেটের সড়কে প্রাণ গেল ৩৫ জনের, আহত ২৯
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, দাওয়াত খেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শহর থেকে কুমারখালী উপজেলার পাইকপাড়ায় নিজ বাড়ি ফিরছিলেন সেনা সদস্য রহমত আলী।
তিনি আরও জানান, বাঁধবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তার স্ত্রী ছালমা খাতুন ও সন্তান স্মরণ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সেনা সদস্যকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রহমত আলী নামে এক সেনা সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল অটোচালকের, আহত ৩
টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাবা-মাকে আর বৃদ্ধাশ্রমে দিতে হবে না। প্রবীণদের জন্য পাইলট বেসিসে ডে কেয়ার সেন্টার শুরু করা হবে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ
তিনি বলেন, বৃদ্ধ বয়সে বাবা-মা ঘরে একা থাকেন। অনেক সময় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। কর্মজীবীদের অতিরিক্ত চিন্তা নিয়ে কাজে অংশ নিতে হয়।
তাই প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সেখানে প্রবীনদের জন্য বিনোদন খেলাধুলা চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেন। মন্ত্রী হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব জিরো টলারেন্স অনুসরণ করা। ঠিক আমার মন্ত্রণালয়েও সেটি অনুসরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়েই দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
হতদরিদ্রের হার শূন্যের কোটায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
খুলনায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
খুলনার ডুমুরিয়ায় মা তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম, তার কন্যা ফাতেমা (৬) ও ৭ মাস বয়সী ছেলে ওমর।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে যেকোনো সময়ে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহলের কারণে ডলি বেগম তার দুই সন্তানকে হত্যা করে তিনি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, সবকিছু দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- মা ডলি বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আগে তিনি তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ