মা
কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী বাইপাস মোড়ে ডাম্প ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইতি খাতুন (৩০) ও তার ছেলে আফনাফ ইব্রাহিম (৩)। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ইতি খাতুনের স্বামী আব্দুল কাদের সিদ্দিকী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেলে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী বাইপাস মোড়ে পৌঁছালে একটি ডাম্প ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে মারা যান। আহত হন আব্দুল কাদের।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, ‘একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়দেব বলেন, ‘নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত একজনকে উদ্ধার করে আগেই হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা।’
২০ দিন আগে
সম্পত্তি নিয়ে মাকে মারধর, ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
ফেনীর ফুলগাজীতে পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন ও ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী মা।
উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ধর্মপুরে ভুক্তভোগী জাহারা বেগম তার দুই ছেলে হোসেন ও মীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ছেলেরা তাকে মারধর করে ঘর থেকেও বের করে দিয়েছেন। একই ঘটনায় জাহারা বেগমের বড় ছেলে প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহেদা আক্তারকে মারধর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
এ ঘটনা ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মা জাহারা বেগম তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহেদা আক্তারের দেবর বেলাল হোসেন তার স্বামীর কেনা সম্পত্তি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় ভাইয়ের স্ত্রী শাহেদা আক্তারের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
একই ঘটনায় মা জাহারা বেগম বড় ছেলে জয়নাল আবেদীন পক্ষে কথা বলায় বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন ও তাদের স্ত্রীরা মিলে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
স্থানীয়রা জানয়, জয়নাল আবেদীন তার আপন চাচা মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে তার বসতঘরের সামনের সম্পত্তি কেনেন। জয়নালেনের কেনা সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল করে দালান নির্মাণের জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনেন তার মেঝ ও ছোট ভাই।
এদিকে দালান নির্মাণে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার ভাই বেলাল হোসেন ও মীর হোসেন তাদের মায়ের থাকার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জাহারা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এই সম্পত্তির জেরে আমার মেঝ ছেলে ও ছোট ছেলে আমাকে মারধর করেছে। আমার থাকার ঘরে তালা দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার ভাই আজিজ উল্লাহ মানিকের সহযোগিতায় তারা একাধিকবার আমি ও আমার বড় ছেলের বৌয়ের ওপর হামলা চালায়। আমি আলাদতে তাদের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার মুসলিম মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে বেলাল দালান নির্মাণ করার জন্য ইট, বালু ও সিমেন্ট আনে। এ সময় বেলাল আমাকে ধাক্কা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারা জয়নালের বউয়ের ওপর ও হাত তুলে এবং জাহারার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।’
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র আমার মা ও বড় ভাইয়ের কারণে আমাদের সম্পত্তি বণ্টনে করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মা আমার নামে মামলা পর্যন্ত করেন। ইতোপূর্বেও আমার নামে মামলা করায় আমি ১৮ মাস জেল হাজতে ছিলাম। ‘আমি কিছু করিনি। এটি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি যতটুকু পাব বড় ভাই ততটুকু পাবে। আইন অনুযায়ী আমিন এনে মাপ করার পর যা পাবে, আমরা সে কথাই বলেছি।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
মায়ের ওপর হামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা বড় ভাইয়ের কথা অনুযায়ী আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমি আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বলেছি ঝামেলা মিটে যাওয়া পর্যন্ত বড় ভাইয়ের ঘরে থাকতে। মায়ের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। যার পক্ষপাতিত্ব করছে তার কাছে থাকতে বলেছি।’
ফুলগাজী থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। মায়ের ঘরটির তালা ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখানে দুই পক্ষের আলোচনা আছে ঈদের পর আগামী ১০ এপ্রিল দুই পক্ষের সঙ্গে সামাজিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
২১ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপরই ছেলেকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ভাগ্নিকে পৈশাচিক ‘নির্যাতন’, মামা-মামি আটক
স্থানীয়রা জানায়, কালাম নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে এসে রাতে ঘরে ঢুকে দা দিয়ে তার মা ও বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আবুল কালামকে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, ‘আটক আবুল কালাম থানা হেফাজতে রয়েছে। মূলত নেশা করতে বাধা দেওয়ার কারণেই মা-বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব। আহত দুই জনকে প্রথমে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’
৪১ দিন আগে
ময়মনসিংহে কৃষক হত্যা মামলায় মা ও ৩ ছেলের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কৃষক হাবিবুর রহমান হত্যা মামলায় এক নারী ও তার তিন ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মাসকান্দা গ্রামের হাজেরা খাতুন এবং তার তিন ছেলে মো. কুতুব উদ্দিন, ছইব উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।
এদের মধ্যে হাজেরা খাতুন, কুতুব উদ্দিন ও ছইব উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০০৬ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে মাসকান্দা গ্রামের হাবিবুর রহমান প্রকৃতির ডাকে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনার পরদিন হাবিবুরের মা তারাবানু বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অভিযুক্ত ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ৫ জনের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
অপর আসামি করিম উদ্দিনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস ও বাকিদের ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
১৫৪ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারে থাকা মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে জুলাইয়ে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, আহত ৩৬
নিহতরা হলেন, জেলার সরাইল উপজেলার তেলিকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী ফয়েজ বানু (৪৫) ও তার মেয়ে ফেরদৌসী (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি বহনকারী ট্রাক্টরকে পেছন থকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা মা-মেয়ে নিহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক্টরটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের শ্রমিক নিহত
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
২২৫ দিন আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
সম্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা জাহানারা বেগমকে তালাবদ্ধ ঘরে ৩ মাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকা থেকে জাহানারাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। জাহানারা বেগম (৭০) গোর্কণঘাটের মৃত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তির লোভে জাহানারাকে তিন মাস একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তার ছেলে-মেয়েরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
ওই নারীর সন্তানদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরে বন্দি করে রাখে। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেওই নারীর কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
২৪৩ দিন আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জয়পুরহাটে ছয় বছরের ছেলেকে গলাটিপে হত্যার দায়ে মা রেশমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে রেশমা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায় ঘোষণার সময় আসামি রেশমা বেগম বুলি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
রেশমা বেগম বুলি জয়পুরহাটের সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথ পুর গ্রামের আসাদুজ্জামান আসাদুলের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসাদুজ্জামানের ভাই-ভাবির সঙ্গে রেশমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া লাগত। তার ভাই-ভাবির বাড়িতে একই গ্রামের মানিক হোসেন যাওয়া আসা করার কারণে তার সঙ্গেও রেশমা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। সে কারণে মানিককে লাঠি দিয়ে রেশমা মারধর করেন। এ ঘটনায় মানিকের স্ত্রী থানায় মামলা দায়ের করলে গ্রেপ্তার হয়ে রেশমাকে কয়েকদিন জেল খাটতে হয়েছে। পরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে ২০০৭ সালের ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আসাদুলের ভাই-ভাবি ও মানিককে ফাঁসাতে নিজের ছয় বছরের শিশু রাকিবকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
২৫৯ দিন আগে
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা ও ছেলের
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিরিনা খাতুন ও তার ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ শিমুল নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দিকে উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- হলেন চারিপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী শিরিনা খাতুন এবং তার মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে ইশতিয়াক আহমেদ।
স্থানীয়রা জানায়, জলমটর দিয়ে পানি উঠানোর জন্য পুকুরে নামেন শিমুল। এসময় ছেঁড়া তারে শিমুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ছেলেকে বাঁচাতে মা শিরিন আক্তার এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও ছেলে।
বারবারিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল আলম বলেন, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোরিকশার চালক নিহত
পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
৩১৪ দিন আগে
মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মা মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে ছেলে মুন্না বাবুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরে তাদের কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন, মিরপুর থানার কাঠদহর চর গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে মুন্না বাবু, ইয়াছিন আলির ছেলে রাব্বী আলামিন এবং ইনছার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের।
এর মধ্যে মুন্না বাবুর আপন চাচা আব্দুল কাদের।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার কাঠদহর চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মমতাজ বেগম।
এ ঘটনায় তার ভাই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে সন্দেহমূলকভাবে মমতাজের ছেলে মুন্না বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় চাচা আব্দুল কাদেরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি মাকে হত্যা করেন।
পরে লাশ একটি বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরের কাদার মধ্যে পুঁতে রাখে। মুন্নার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে।
পরে এই হত্যাকাণ্ড তাদের দায় স্বীকার করে দণ্ডপ্রাপ্ত মুন্না ও রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৩১৫ দিন আগে
ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে রায় প্রদানের সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে জ্যেৎস্না বেগমকে নির্যাতন করতেন হেলাল ও জেসমিন। স্থানীয় সালিশে জ্যেৎস্নার ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক ফুরাডন (বিষ) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী হেলাল ও তার সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের কৌঁসুলি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৩৩৭ দিন আগে