মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার চাঁদপুরের কাছে লক্ষীরচরে মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে প্রায় ৫০০ কেজি (সাড়ে ১২ মণ) ওজনের এ মাছটি ধরা পড়ে।
বিশাল দেহী ও বৃত্তাকার এ মাছটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাড়ে ১৫ ফুট আর লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট।
শহরের বড়স্টেশন মাদরাসা রোড এলাকার জেলে মো. আবুল বাশারের ইলিশা জালে মাছটি ধরা পড়ে। এরপর মাছটি দেখতে ভিড় করেন উৎসুক অনেক মানুষ।
জেলে আবুল বাশার বলেন, পদ্মা-মেঘনা নদীর লক্ষীরচরে মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে ৭/৮ জন মিলে বাঁশ ও কাছি দিয়ে মাছটি ফিসিং ট্রলারে উঠিয়ে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছ ঘাটে (জেলার সবচেয়ে বৃহৎ মাছ ঘাট) নেয়া হয়। পরে বিকালের দিকে মাছটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যায়।
তবে লকডাউন পরিস্থিতি না থাকলে মাছটি অন্তত এক লাখ টাকায় বিক্রি করা যেত বলে জানান জেলেরা।
‘হাউস’ মাছ নামে পরিচিত হলেও এটি মূলত ‘শাপলা পাতা’ মাছ।
চাঁদপুরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ আসাদুল বাকী ও মাহবুব রশীদ বলেন, এ মাছের ইংরেজি নাম হল ‘স্টিংরে’। এটি সাধারণত সাগরে থাকে। উপজাতীয়রা/পাহাড়ী এলাকার মানুষজন এসব মাছ খায়। তবে সতর্কতার সাথে এ মাছের শরীরের বিষাক্ত গ্ল্যান্ড কেটে ফেলতে হবে।
মাছের আড়তদার মো. কালাম গাজী বলেন, কেজি প্রতি ১৩০ টাকা করে মাছটি বিক্রি করতে চেয়েছি। কিন্তু তার আগেই ৫০ হাজার টাকায় এটি কিনে নেন একজন ব্যবসায়ী। এটি পাইকাররা বাজারে কেজি প্রতি আড়াই থেকে ৩শ’ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করবে।
মাছটির ক্রেতা মাছ ব্যবসায়ী মুনছুর আহমেদ বন্দুকশি বলেন, ৫০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নারায়ণগঞ্জের আড়তদারের কাছে পিকআপে পাঠানো হয়েছে। লকডাউন না থাকলে মাছটির দাম আরও বেশি পাওয়া যেত।
সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, এ ধরনের মাছ সাধারণত সাগরে থাকে। তবে দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২-১৩টি প্রজাতি রয়েছে।