ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় শনিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এক সঙ্গে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন।
আরও পড়ুন: অপহরণের শিকার সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের মামলা দায়ের
এই সময় বক্তারা সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে দেন সংবাদিকরা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ আমিন সরকার রাসেল, আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি গোলাম সারোয়ার সম্রাট, সময়ের আলোর শাহ মো. নাজমুল ইসলাম, গাজি টিভির ইমদাদুল হক ভুট্টু, প্রেসক্লাব সদস্য রোজওয়ানুল হক রিজু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সদর উপজেলার নব গঠিত সেনুয়া ইউপি নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি তানভির হাসান তানু, রাইজিং বিডি ডট কম, পিপসল টাইমসের জেলা প্রতিনিধি মইনুদ্দিন তালুকদার হিমেল , দৈনিক ভোরের আকাশ, নিউজ বাংলা টুয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা ও ঢাকা মেইলের জাহিদ হাসান মিলু।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হুমায়ূন সাদেক চৌধুরী আর নেই
আহতরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে সেনুয়া ইউনিয়নের মোলানখুরি মন্ডলপাড়ায় লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নোবেল কুমার সিংহের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর (বিএনপি) আয়োজিত এক নির্বাচনী বৈঠকের ওপর হামলা চালানোর সময় তারা ছবি ধারণ করছিলেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও বেধরক মারধর করে। এলাকার নারীরা এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করে। পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, মামলা হওয়ার পর পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।